সোমবার (২০ মে) সকাল ১১টায় সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রাক মুহূর্তে আশাশুনি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে আয়োজিত ব্রিফিং প্যারেড শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকী এসব কথা বলেন।
মতবিনিময়কালে অন্যদের মধ্যে আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রনি আলম নুর, আশাশুনি থানার ওসি বিশ্বজিৎ অধিকারী, ওসি (তদন্ত) মো. রফিকুল ইসলামসহ নির্বাচন পরিচালনা ও আইনশৃঙ্খলা প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকের এসপি মুহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকী বলেন- আপনাদের সার্বিক সহযোগিতা আমাদের প্রয়োজন। চোখ-কান খোলা রেখে সাংবাদিকদের কাজ করতে হবে, কোথাও কোনো অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গে তিনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে জানানোর আহ্বান জানান।
ভোটাররা যাতে করে নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে পারে সে বিষয়ে সবার সহযোগিতা কামনা করে তিনি বলেন- ভোটকেন্দ্রে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করা হবে না। এমনকি ভোটকেন্দ্রের আশপাশ এলাকায় কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হলে কঠোর হস্তে তা দমন করা হবে।
নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী কর্তৃক চিহ্নিত ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের তালিকা জমা প্রদান সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে এসপি বলেন- প্রার্থী কর্তৃক ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের তালিকা আমরা পেয়েছি এবং সে মোতাবেক ওই সমস্ত কেন্দ্রগুলোতে বিশেষ নজরদারি রাখা হয়েছে। পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন মোতায়েন করা হয়েছে।
ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের কেন্দ্রে অবাধ প্রবেশসংক্রান্ত সাংবাদিকদের এক প্রশ্ন জবাবে তিনি বলেন- চেয়ারম্যানরাও অপরাপর সাধারণ মানুষের মতো। শুধু তার নিজের ভোটটি দিতে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন, এর বাইরে কোনো চেয়ারম্যান কোনো অবস্থায় লোকজন নিয়ে কেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করতে পারবেন না। চেয়ারম্যান কেন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। সবাইকে আইন মেনে চলতে হবে। কোথাও এর ব্যতিক্রম হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেন তিনি।
মঙ্গলবার (২১ মে) দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে চারজন, ভাইস চেয়ারম্যান পুরুষ পদে পাঁচজন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী প্রতিযোগিতা করছেন। ইতোমধ্যে ভোটগ্রহণের যাবতীয় প্রাথমিক কর্মকাণ্ড শেষ হয়েছে। এই ভোটে ৮৭ কেন্দ্রে ৬০৪টি বুথে ২ লাখ ৩৯ হাজার ২১০ জন ভোটার রয়েছেন। ভোটারদের মধ্যে ১ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার এবার ভোট প্রদান করবেন।