সাতক্ষীরার আশাশুনি তে ধর্মীয় উস্কানির অভিযোগে আটক-০১, পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপে থামলো সংঘর্ষ

দ্বারা zime
০ মন্তব্য 168 দর্শন

 

সাতক্ষীরার আশাশুনিতে ধর্মীয় উস্কানিমূলক মন্তব্য করার অভিযোগে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার বিকালে কালীগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশ তাকে আটক করে। এদিকে, বিষয়টি নিয়ে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মাদ মতিউর রহমান সিদ্দিকী   হস্তক্ষেপ করায় ঐ এলাকায় থেমে যায় ধর্মীয় উস্কানি মূলক সংঘর্ষ।

আটক যুবক আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি ইউনিয়নের মিত্র তেতুলিয়া গ্রামের মন্টু অধিকারীর ও সংরক্ষিত মহিলা মেম্বর তাপসী রানী অধিকারীর ছেলে।ফেইজবুকে ওই যুবকের উস্কানিমূলক বক্তব্যকে ঘিরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ফেসবুক পোস্টকারী ওই যুবক কে।

সাইবার ক্রাইমের একটি দল ওই ফেসবুক আইডি নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ খুটিয়ে দেখছেন। স্পর্শকাতর এ বিষয়টি নিয়ে কেউ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা বা কোন প্রকার বিষবাষ্প ছড়ানোর আগেই তা দমন করেছে জেলা পুলিশ।

এর আগে শুক্রবার সকালে আশাশুনির কাদাকাটি ইউনিয়নের মিত্র তেঁতুলিয়া গ্রামের রাকেশ অধিকারী নামের ওই যুবকের ফেসবুক আইডি থেকে ধর্মীয় উস্কানিমূলক মন্তব্য করা হয়। যা ঘিরে মুসল্লিদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। শুক্রবার বিকালে উপজেলার কাদাকাটি ইউনিয়নের মিত্র তেঁতুলিয়া বাজারে মুসল্লিরা মানববন্ধনের আয়োজন করে। এ নিয়ে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ সুপারের নির্দেশনা মোতাবেক গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত সদস্য মোতায়ন করা হয়।

এসময় মানববন্ধন না হলেও মুসল্লিদের পক্ষ থেকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে বড়দল ইপির সাবেক ইউপি সদস্য হাফেজ রুহুল আমিন।

সাতক্ষীরায় জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা থেকে পাঠানো এক প্রেস বিঞ্জপ্তি র মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়। অভিযুক্ত উস্কানিদাতাকে পুলিশ হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান,জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মাদ মতিউর রহমান সিদ্দিকী।

বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ, হঠাৎ কোন অনাভিপ্রেত ঘটনা যাতে না ঘটে, সেটি আমাদেরই দেখতে হবে। উস্কানি দাতা কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানান পুলিশ সুপার।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন