সাতক্ষীরা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সাথে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকীর মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বেলা ১২ টায় জেলা পুলিশের সভা কক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাজমুল হাসান, মোহাইল মাহদিন, সোহান সাইদ সাদ্দাম, মুবাশ্বির ফয়সাল, রিফাত আহমেদসহ অন্যান্যরা।
সুপার মুহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকী বলেন, পুলিশ বাহিনীতে দুই একজন কুলাঙ্গারের জন্য পুরা ডিপার্টমেন্টকে দায়ী করা যায় না। সারাদেশে ১০ হাজার পুলিশ খারাপ পাওয়া যাবে না। যুব সমাজ যদি রুখে দাড়ায় তাহলে সবই সম্ভব। ছাত্র আন্দোলনেই অনেক সরকার পুড়ে ছারখার হয়ে গেছে। ছাত্রদের খেয়াল রাখতে হবে আন্দোলনের সফলতা যেন হাইজ্যাক না হয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন, সবাইকে সাথে নিয়ে ক্রমান্বয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। ধর্মীয় বিভেদ ভূলে যেয়ে আমরা বাংলাদেশী এটা সবার মনে রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে আমাদের কেউ যেন বিভেদ না করতে পারে। মন্দির যেভাবে পাহারা দেওয়া হচ্ছে একইভাবে মসজিদ, প্যাগোডা পাহারা দিতে হবে। বাগানকে নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না। আমি যতদিন পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্বে আছি সাতক্ষীরার মানুষের জন্য কাজ করে যাবো। আমার জন্য কোন মানুষ যেন কষ্ট না পায়। পুলিশকে দেখে যেন মানুষ শ্রদ্ধা করে সেই কাজ করার জন্য পুলিশের সদস্যরা শপথ নিয়েছে। দেশে স্বাধীন পুলিশ কমিশন খুবই প্রয়োজন। কমিশন হইলে কোন পেশি শক্তি পুলিশকে ব্যবহার করতে পারবে না। পুলিশ সুপার সৎ হলে থানার ওসি, সাব ইন্সপেক্টর সবাই ভয়ে থাকতো। পুলিশকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার বন্ধ করলে জনগণের সেবক হিসেবে পরিচয় পাবে।
এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা তাদের আন্দোলনে যে সব পুলিশ কর্মকর্তা অতি উৎসাহী হিসেবে কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহবান জানান। তারা আরো বলেন, দেশ স্বাধীন হয়েছে। পুলিশকে থানায় দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। আমরা পুলিশকে সকল পর্যায়ের সহযোগিতা দেবো। এসময় সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) পদোন্নতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার সজীব খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডিএসবি মো: আতিকুল ইসলাম প্রমুখ।