সাতক্ষীরার জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় অপরাধী সনাক্তকরণে জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসিটিভি স্থাপন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এছাড়া রাজনৈতিক পরিচয়ে অবৈধভাবে মৎস্য ঘের দখলে মত্ত হওয়াদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সেনাবাহিনীকে তথ্য দেওয়া, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা, জলাবদ্ধতা নিরসন একত্রে কাজ করা, শহরের ট্রাফিক জ্যাম নিরসন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগকে আরো বেশি সক্রিয় হওয়া, পৌরসভার নিবন্ধিত ইজিবাইক ছাড়া বাইরের কোন ইজিবাইক শহরের মধ্যে ডুকতে না দেওয়া, প্রাণসায়র খালে জোয়ার-ভাটা প্রবাহসহ খালকে পরিষ্কার পরিছন্ন রাখা, ভোমরা স্থলবন্দরকে গতিশীল করা, জেলার গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলো নিরসন এবং সেসকল মামলার আসামিদের অবৈধভাবে দেশ ত্যাগ করার আগে গ্রেপ্তার করা, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নতি, রাস্থায় ধারে যত্রতত্র ইট বালি খোয়া রাখা, রাস্থা খুঁড়াখুঁড়ি না করা, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা, মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থা তৈরীতে প্রাথমিক শিক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়া, কোচিং বানিজ্য বন্ধ, বাল্য বিবাহ বন্ধসহ জেলার বিভিন্ন বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় বক্তারা তাদের বক্তব্যে উল্লে খ করেন।
রবিবার (১২ জানুয়ারি)সকালে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোস্তাক আহমেদ।
সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রিপন বিশ্বাসের সঞ্চালনায় আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক বিষ্ণু পদ পাল, সেনাবাহিনীর অধিনায়ক লে.কর্নেল ফাহিম আদনান, সেনাবাহিনীর সাতক্ষীরার ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন আলিফ, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মাসরুবা ফেরদৌস, জেলা বিএনপি’র আহবায়ক এড.সৈয়দ ইফতেখার আলী, জেলা জামাতের আমীর অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো.আবুল হাসেম, সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ বাসুদেব বসু, জেলার সাত উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর মো.আব্দুর সাত্তার, ভোমরা সিএন্ডএফ এ্যাজেন্ট এ্যাসোসিয়েয়নের সভাপতি আবু হাসান, এনএসআই, ডিজিএফআইয়ের কর্মকর্তা, র্যাবের প্রতিনিধি, এছাড়া নৌপুলিশ, কোস্ট গার্ডসহ জেলার সকল সরকারি বেসরকারি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।