দা চেঞ্জ মেকার অফ খুলনা রেঞ্জ পুলিশ : ডিআইজি রেজাউল হক পিপিএম

দ্বারা zime
০ মন্তব্য 313 দর্শন

 

খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ রেজাউল হক গত বছর ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ তারিখে খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।দায়িত্ব নিয়েই তিনি দেখতে পেলেন রেঞ্জের ১০ জেলার সকল থানা গুলো ধ্বংস স্থুপে পরিনত।থানায় কোন পুলিশ নেই।থানায় বসার ও কোন চেয়ার টেবিল নেই।কি একটা ভয়াবহ পরিস্থিতি র ভিতরে তিনি খুলনা রেঞ্জের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।সেখান থেকে রেঞ্জ ডিআইজি খুলনা বিভাগের ১০ জেলার পুলিশ সুপারের সাথে দফায় দফায় ভার্চুয়াল মিটিং করেন। কিভাবে থানাকে পুনর্জীবিত করা যায়।রেঞ্জ ডিআইজির অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে কিছু দিনের ভিতরে থানায় ওসি রা বসা শুরু করলেন।পোষ্টিং পাওয়া নতুন নতুন সাব-ইন্সপেক্টরগণ ও যোগদান করলেন থানায়।কিন্তু থানার  পুলিশ তখন ও ট্রোমাটাইজ্ড। কোন জাগাতে হামলা হলে চুরি ডাকাতি হলে পুলিশ যেতে ভয় পেতো।একপর্যায়ে এসব ভীত পুলিশ সদস্যদের সাহস ও উৎসাহ যোগান খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মো: রেজাউল হক পিপিএম। রেঞ্জ ডিআইজি যোগদানের ৬ মাসের ভিতরেই থানা গুলো পুরো দমে কার্যক্রম শুরু করলো।

রেঞ্জ ডিআইজি প্রতি মাসে ২-৩ জেলা সফর করতেন।সেখানের সব ধরনের মানুষদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করতেন।মানুষ কে বোঝাতেন আগের পুলিশ আর বর্তমান পুলিশ এক নয়।তিনি বোঝাতেন আমরা কারো পকেটের পুলিশ নয়।আমরা জনতার পুলিশ হতে চাই।আপনারা আমাদের কে সহযোগীতা করুন।

থানা গুলো যেই চাঙ্গা হলো তখন রেঞ্জ ডিআইজি জোর দিয়েছেন অপরাধ দমন, জনসেবা এবং মানবিক পুলিশিং–এর ওপর। থানাগুলোতে সাধারণ মানুষের প্রবেশাধিকার সহজতর করা, মাদক ও সন্ত্রাস দমনে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ, এবং পুলিশের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা রক্ষা—এসব উদ্যোগ তাঁকে মাঠপর্যায়ের সদস্যদের আস্থার প্রতীক করে তুলেছে।

ডিআইজি মোঃ রেজাউল হক বিশ্বাস করেন, “জনগণের সহযোগিতা ছাড়া প্রকৃত নিরাপত্তা সম্ভব নয়। সেই বিশ্বাস থেকেই তিনি খুলনা রেঞ্জে চালু করেছেন বিট পুলিশিং ও সামাজিক সচেতনতা কার্যক্রম, যা স্থানীয় জনতার কাছে পেয়েছে ব্যাপক সাড়া। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মন্দির, বাজার ও গ্রামীণ সমাবেশে পুলিশ সদস্যদের সরাসরি অংশগ্রহণ তাঁর নির্দেশনায় এখন নিয়মিত।

তাঁর নেতৃত্বে খুলনা রেঞ্জে পুলিশের ভাবমূর্তি এখন অনেক উন্নত।থানার কর্মকর্তাদের দায়িত্ববোধবৃদ্ধি,কনস্টেবলদের  মানবিক প্রশিক্ষণ, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে বিশেষ সেল গঠন সব মিলিয়ে পুলিশ বিভাগে এসেছে একটি ইতিবাচক প্রশাসনিক সংস্কৃতি।

সততা, নিষ্ঠা ও মানবিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী এই কর্মকর্তার লক্ষ “জনগণের জন্য পুলিশ, ভয় নয় ভরসার প্রতীক” হিসেবে খুলনা রেঞ্জকে গড়ে তোলা। তাঁর এই উদ্যোগ ও কর্মস্পৃহা দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থাকে দিয়েছে নতুন দিকনির্দেশনা।

তাঁকে আমরা এক কথায় বলতে পারি তিনি হচ্ছেন…..

দা চেঞ্জ মেকার অফ খুলনা রেঞ্জ পুলিশ।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন