নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
শীতকাল গরীবের জন্য খুব ভয়াবহ একটি সময়।বিশেষ করে বৃদ্ধ মানুষ ও ছোট শিশুদের জন্য শীতকাল খুব ঝুকিপুর্ন। ভিক্ষারীরা সাধারনত দেখবেন, গরম কালে মানুষের দুয়ারে এসে টাকা চায়, চাল চায়,বা দুপুরে ভাত খেতে চায়।কিন্ত কম্বল চায় না কারো কাছে।শুধু মাত্র কনকনে শীতের কামড় সয্য করতে না পেরে অসহায় গরীব প্রকৃতির মানুষরা ধনীদের বাড়িতে এসে শীত বস্ত্র বা কম্বল চায় সাহায্য হিসাবে।কেউ কেউ শীত বস্ত্র না দিতে পারলেও কিছু আর্থিক সাহায্য প্রদান করেন শীতার্থ অসহায় মানুষ কে।কিন্তু কম্বল দামী জিনিষ হওয়াতে অনেক অসহায় ও গরীব ভিক্ষুকরা অল্প টাকা সাহায্য পেয়েও ১ টা কম্বল কিনতে পারেন না।তারা ঘরের খাওয়ার চাল কিনবে? না কম্বল কিনবে?এটাই প্রশ্ন তাদের।
কনকনে শীতের কামড়ে অনেক বৃদ্ধ ভিক্ষুক মাঝে মাঝে মৃত্যু বরণও করেন,যেটা বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় আমরা দেখতে পাই।

উপরোক্ত বিষয় গুলো উপলব্ধি করে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সদরের নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূর হোসেন সজল আজ ২৮ শে ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখ সাতক্ষীরা সদরের কিছু গরীব ও অসহায় ভিক্ষুক কে তার অফিসে ডেকে নিজের হাতে কম্বল বিতরন করেছেন।

উক্ত কম্বল পেয়ে বৃদ্ধ অসহায় মহিলা গুলো ভিষন খুশি হয়েছেন।কম্বল পেয়ে বৃদ্ধ আমেনা খাতুন বলেন,আমার বয়স প্রায় ষাটের কাছাকাছি, আগের মত শরীরে আর বল পাইনা যে কাজ করে খাবো।ছেলে আছে তারা ভ্যান চালিয়ে নিজের সংসার নিয়ে ব্যস্ত। আমাদের দেখা শুনা করার সময় তাদের নেই।আমি একটা কম্বলের জন্য প্রায় ১ দেড় মাস বিভিন্ন জাগাতে ছুটাছুটি করছি।কিন্তু লোক সংখ্যা বেশি থাকায়, আমার ভাগ্যে আর কম্বল জুটিনি।আজ আমাদের কে ডেকে সরকারের পক্ষ থেকে ইউএনও স্যার ১ টি করে কম্বল দিয়েছেন খুব পুরো আর উন্নত মানের কম্বল।কম্বল টি পেয়ে আমরা খুব খুশি হয়েছি।শীতের কষ্টে রাত্রে ভাল করে ঘুমাতেও পারিনা আমরা।আমরা সরকারের প্রতি অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।আল্লাহ পাঁক শেখ হাসিনা কে সুস্থ্য রাখুক ও দীর্ঘায়ু দান করুন;ইত্যাদি দোয়া করতে করতে বৃদ্ধ মানুষ গুলো কম্বল নিয়ে চলে যান।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন