নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বিজিবির দক্ষিন পশ্চিম রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খালেদ আল মামুন বলেছেন, সীমান্তে মানব পাচার প্রতিরোধ, চোরাচালান, মাদক ও বিস্ফোরক দ্রব্য চোরাচালান প্রতিরোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে সীমান্ত এলাকায় আধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করণের পাশাপাশি সীমান্ত নিরাপত্তা শক্তিশালী করন ও বাংলাদেশ সীমান্তকে শতভাগ সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব হবে।
আধুনিক প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি ব্যবহার সীমান্ত সুরক্ষায় সীমান্তরক্ষী বডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)সহ সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করলে সীমান্তে চোরাচালানসহ সব ধরনের অপরাধ জিরোট্রলান্সে নিয়ে আসাও সম্ভব হবে।

সোমবার সকালে সাতক্ষীরা শহরের খড়িবিলা মোজাফ্ফর গার্ডেন এন্ড রিসোর্টে সাতক্ষীরা বিজিবি’র আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘আধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে সীমান্ত নিরাপত্তা শক্তিশালী করন’ বিষয়ক সেমিনারে রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খালেদ আল মামুন এসব কথা বলেন।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খালেদ আল মামুন আরও বলেন, বাংলাদেশ সীমান্ত জুড়ে কোথাও নদী কোথাও বন জঙ্গল, কোথাও পাহাড় আবার কোথাও সমতল ভূমিতে ঘনবসতি রয়েছে। এসব কিছু বিবেচনায় এনে যেখানে যে ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার দরকার সেখানে তাই করা হবে। স্থান বিশেষে ড্রোন ব্যবহারের ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।

৪১৫৬ কিলোমিটারের বাংলাদেশ ভারত সীমান্ত জুড়ে অবৈধ ফেনসিডিল ও অন্যান্য মাদক পাচার, স্বর্ণ পাচার, ইলিশ পাচার, বিস্ফোরক দ্রব্য পাচার এমনকি গ্যাস সিলিন্ডার পাচারসহ নানা অপরাধ সংঘটিত হয়ে থাকে।
এই সীমান্ত বরাবর ভারতের ১১৪০ টি বিএসএফ বিওপি এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের ৬৬৯ টি বিওপি রয়েছে উল্লেখ করে সেমিনারে বলা হয় সীমান্ত সুরক্ষায় বিজিবির প্রয়োজনীয় জনবল না থাকায় প্রতিটি বিওপির দূরত্ব সাত থেকে দশ কিলোমিটার।
সীমান্ত জুড়ে ভারতের কাঁটাতারের বেড়া এবং সড়ক রয়েছে। এর বিপরীতে বাংলাদেশ সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন ধরনের ঘাটতি রয়েছে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিজিবির খুলনা সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল তৌহিদুল ইসলাম, কুষ্টিয়া সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মসউদ, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাসেম মো. মহিউদ্দিন, পুলিশ সুপার মো: সাজ্জাদুর রহমান প্রমুখ।

সেমিনারে সীমান্ত সুরক্ষা বিষয়ক তথ্যবহুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনিভর্সিটি অব লিবারেল আর্টস’র প্রফেসর ড. সাজ্জাদ হোসেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সহযোগী অধ্যাপক ড. এএসএম আলি আশরাফ।

এছাড়া বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সাবেক সভাপতি সুভাষ চৌধুরী, সাংবাদিক ইয়ারব হোসেন কৈখালি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম প্রমুখ।

সুত্রঃ সাতক্ষীরা টাইম্স ডটকম।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন