♣♣♣♣
চট্টগ্রাম থেকে ক্রিমের কৌটায় পাঠানো ইয়াবার পার্সেল নিতে এসে আটক হওয়া চারজনই ঢাকার ইয়াবার ডিলার বলে জানিয়েছেন র্যাব-১০ অধিনায়ক (সিও) এডিশনাল ডিআইজি মো. কাইয়ুমুজ্জামান খান।
সোমবার (২৭ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অভিযান পরিচালনা করে চারটি পার্সেলে থাকা ৪০টি ভাটিকা ও প্যারাসুট ক্রিমের কৌটা থেকে ৪০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে র্যাব। এসব ইয়াবা চট্টগ্রামের লোহাগড়া থেকে ঢাকায় পাচার করা হয়।
সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পাঠানো এসব ইয়াবার ৪টি পার্সেল নিতে আসা চারজনকেও আটক করা হয়। আটক ইয়াবার ডিলাররা হলো আরিফ, ফোরকান, রুবেল ও আবু নাইম।
সোমবার (২৭ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মতিঝিলের দিলকুশা রোডে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের সামনে তাৎক্ষণিক প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাব-১০ অধিনায়ক (সিও) এডিশনাল ডিআইজি মো. কাইয়ুমুজ্জামান খান বলেন, ‘মাদক ব্যবসায়ীরা একের পর এক বিশেষ কৌশলে ইয়াবা পাচার করে আসছে। তবে আমরাও আমাদের কৌশল পাল্টে তাদের গ্রেফতারে সক্ষম হচ্ছি। এবার ভাটিকা ও প্যারাসুট ক্রিমের কৌটার নিচের অংশে বিশেষ কায়দায় ইয়াবা লুকিয়ে কুরিয়ারের মাধ্যমে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় পাচার করা হয়। আমরা গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ইয়াবা ট্যাবলেট কারবারের সঙ্গে জড়িত চারজনকে আটক করেছি। তারা সবাই ঢাকার বিভিন্ন স্থানের ইয়াবার ডিলার।’ তিনি বলেন, ‘আটক ইয়াবার ডিলাররা সকাল ১১টা থেকে দুপুর পর্যন্ত চারটি পৃথক সময়ে এসব পার্সেল সংগ্রহ করতে এসেছিল। আমাদের র্যাব সদস্যরা তাদের হাতেনাতে আটক করে ফেলে।’
মো. কাইয়ুমুজ্জামান আরও বলেন, ‘আমরা ইয়াবার পার্সেলের প্রাপকদের আটক করেছি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। চট্টগ্রাম থেকে কে তাদের কাছে এই ইয়াবা পাঠিয়েছে তাদের বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে। প্রেরকদেরও আমরা গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে চেষ্টা করবো।’ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে র্যাব-১০ অধিনায়ক বলেন, ‘কুরিয়ার সার্ভিসের মালিক পক্ষের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তাদের এই সেবা যাতে আরও সতর্কতার সঙ্গে ও স্বচ্ছভাবে গ্রাহকদের দিতে পারেন সে বিষয়ে নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে। যেকোনও মালামাল বুকিংয়ের সময় সতর্কতা অবলম্বন করতেও বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে যদি কুরিয়ার সার্ভিসের কোনও লোক জড়িত থাকে, আমরা যদি প্রমাণ পাই, তবে তার বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
র্যাব-১০ কোম্পানি কমান্ডার (সিপিসি-১) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মহিউদ্দিন ফারুকী প্রতিবেদক কে বলেন, ‘চট্টগ্রাম থেকে রাকিব ও শাওন নামে দুজন ইয়াবা ব্যবসায়ী ছদ্মনাম ব্যবহার করে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ইয়াবাগুলো পার্সেল করেছিল। আমরা ওই মাদক ব্যবসায়ীদের আসল নাম জানতে পেরেছি। ঢাকায় এই চক্রের আরও কোনও সদস্য আছে কিনা, সেটি তল্লাশি করে দেখা হচ্ছে।’
র্যাব সূত্র জানায়, একটি পার্সেল মিরপুরে পৌঁছে দিতে আটক রুবেলের সঙ্গে দুই হাজার টাকার চুক্তি হয়। তবে কার কাছে এসব ইয়াবা পৌঁছে দিতে হবে সেটি বলা হয়নি। আরিফ চট্টগ্রামে লেখাপড়া করেছে। শাওন নামে একজন ব্যক্তি তাকে মতিঝিলের সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস থেকে একটি পার্সেল নিতে বলেছিল। এর বিনিময়ে আরিফকে তিন হাজার টাকা দেবে বলেও চুক্তি হয়। আসামি ফোরকান ও আবু নাইম দুজনই রাজমিস্ত্রির কাজ করে। টাকার লোভে তারা ইয়াবার ক্যারিয়ার হিসেবে কাজ করতে এসেছিল।
সূত্রঃ দৈনিক লোকসমাজ।