♦♦♦♦
সিটিজেন জার্নালিস্ট(জিমি):
জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা আজ সকালে খুলনা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে তার সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়
সভার প্রথমেই মাহিন্দ্রার পিছনের সিটে সবোর্চ্চ তিনজন যাত্রী বহনের দাবি কার্যকর হওয়ায় পুলিশ বিভাগকে ধন্যবাদ জানানো হয়। সভায় জেলার সার্বিক আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে জেলা ও মহানগরীর স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইয়াবার বিস্তার ও আসক্তি রোধ করা, অবৈধ কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করা, হকার উচ্ছেদ, অবৈধ যান চলাচল বন্ধের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মহানগরের বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে নিয়মিত টহল কার্যক্রম অব্যাহত আছে ।
সভায় জানানো হয়, মাদকের বিরুদ্ধে ২৯টি মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করে ১৩ জন আসামির বিরুদ্ধে ৭টি মামলা রুজু করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক বলেন যে, মাদক বিরোধী অভিযান সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য ২ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটকে সাউথ ও নর্থ ডিভিশনের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। মহানগরী অধিক্ষেত্রে জুলাই/২০১৮ মাসে ২৬১টি মামলার স্থলে আগস্ট/২০১৮ মাসে ২২টি মামলা দায়ের হয়েছে। মহানগরী অধিক্ষেত্রে মামলার সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে ৩৯টি। আগস্ট মাসে বিভিন্ন মাদক স্পটে ৯৯টি অভিযান পরিচালনা করে ২৩ জন আসামির বিরুদ্ধে ২০টি মামলা রুজু করা হয়েছে। ফিটনেসবিহীন পরিবহন, অবৈধ যানবাহন নিয়ন্ত্রণের জন্য সংশ্লিষ্ট আইনে আগস্ট/২০১৮ মাসে ৩৩টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৩৮১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সভায় অন্যান্য যেসব বিষয়ে আলোচনা হয়, পিকচার প্যালেস মোড়ে ফুটপাথ দখল করে রাস্তায় চলাচল বিঘিœত হচ্ছে, জিকজ্যাকভাবে মোটর সাইকেল চালানোর কারণে দুর্ঘটনার হার উদ্বেগজনক, দাদাম্যাচ ফ্যাক্টরি চালু করার বিষয়ে উদ্দ্যোগ নেয়া দরকার। সদস্যরা বলেন, মিলগুলোতে শ্রমিকদের মজুরি যথানিয়মে পরিশোধ করা হলে নির্বাচন উপলক্ষে শ্রমিক অসন্তোষকে কাজে লাগিয়ে কেউ সুযোগ নিতে পারবে না।
সভায় জনপ্রতিনিধি, খুলনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটগণ,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব নাইমুল হক,কেএমপি’র প্রতিনিধি,জেলার সকল নির্বাহী অফিসারগণ,জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ সহ সরকারী কর্মকর্তা ও কমিটির সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।