Citizen Journalist (জিমি):গত  ০৮ ই সেপ্টেম্বর ২০১৮ রাত তখন ১০.৪০ মিনিট। হঠাৎ একদল মুখোশ পরা দুষ্কৃতিকারী জনাকীর্ণ বাজারে প্রবেশ করে কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান কে এম মোশাররফ হোসেনকে কুপিয়ে ও গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করে পালিয়ে যায়।পরে নিহতের মেয়ে বাদী হয়ে আব্দুল গাইন কে প্রধান আসামী করে ৯ জনের নামে  কালিগজ্ঞ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।কালিগজ্ঞ থানার মামলা নং ৬।

মামলার তদন্তভার পড়ে কালিগজ্ঞ থানার ওসি তদন্ত রাজিব হোসেনের উপর।চাঞ্চল্য্যকর মামলা টিকে চ্যালেঞ্জ হিসাবে নেন পরিদর্শক রাজিব হোসেন।কারন বিষয়টি টক অফ দা টাউনে পরিনত হয়।

চাঞ্চল্য্যকর এই মামলাটির বিষয়ে কালিগজ্ঞ থানার ওসি তদন্ত জনাব রাজিব হোসেন আপডেট সাতক্ষীরা ডটকম কে জানান,কালিগজ্ঞ থানার  অফিসার ইনচার্জ, জনাব হাসান হাফিজুর রহমান,সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার(কালীগঞ্জ সার্কেল),জনাব মোঃ ইয়াসিন আলী এবং সাতক্ষীরা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার,জনাব সাজ্জাদুর রহমান স্যারদের সহযোগীতা নিয়ে নিজের (রাজিব হোসেন) দিনরাত ২৪ ঘন্টা ব্যাপি নি রা লস ভাবে চেষ্টা পুর্বক তদন্ত শুরু করি।তিনি আরো জানান, ঘটনার ৫ দিনের মধ্যে থানার কিছু চৌকস অফিসার নিয়ে ৬ জন আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।

এর মধ্যে ৩ জন আসামি নিজেদের কে ঘটনার সাথে জড়িত ছিলো বলে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।এরপর একে একে বেরিয়ে আসতে থাকে এই হত্যাকান্ডের মূল রহস্য। তিনি আরো জানান,ঘটনার ৭ দিনের মাথায় হত্যাকান্ডে জড়িত প্রধান আসামি জলিল ডাকাতকে গাজিপুর থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।পরে গাজিপুর থেকে সাতক্ষীরা কালিগজ্ঞ থানায় প্রধান আসামী জলিল ডাকাতকে নিয়ে আসা হয় স্টোয়ার্টের সাহায্যে।

এবিষয়ে কালিগজ্ঞ থানার অফিসার ইনচার্জ  জনাব হাসান হাফিজুর রহমান আপডেট সাতক্ষীরার প্রতিবেদক কে বলেন,গাজিপুর থেকে প্রধান আসামী কে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে তাকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে নিহত মোশারফের হত্যার ঘটনাস্থল কৃষ্ণনগর যুবলীগ কার্যালয়ের সামনে নিয়ে যাওয়া হয় হত্যায় ব্যবহৃত আলামত উদ্ধারের জন্যে।

এসময় বিক্ষিপ্ত ৫-৬ হাজার জনতা পুলিশের কাছ থেকে প্রধান আসামী জলিল কে ছাড়িয়ে নেন এবং তাকে গন পিটুনি দিয়ে মেরে ফেলেন।ওসি আরো জানান,এ ঘটনায় ৩ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।এঘটনায় ৫-৬ শ লোক কে অজ্ঞাত নামা আসামী করে একটি ছিনতাই মামলা করা করেছে পুলিশ। 

এবিষয়ে কালিগজ্ঞ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জনাব ইয়াসীন আলী সাংবাদিকদের  কে এক ব্রিফিংয়ে  জানান ,এতো  অল্প সময়ের মধ্যে হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন হওয়ায় পুলিশের উপর আস্থা পায় কালিগঞ্জ বাসী।শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় সিক্ত করে তারা কালিগঞ্জ পুলিশ প্রশাসনকে।

তারই অংশ হিসাবে গতকাল আকস্মিক হাজার খানেক মানুষ ফুলের ডালা সাজিয়ে হাজির হয় কালিগঞ্জ থানায়।এসময় ফুল ছিটিয়ে ও মালা পরিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে নিহত মোশারফের কন্যা সহ শুভা কাঙ্খিনীরা।এসময় নিহত মোশারফের কন্যা সহ অন্যান্য আত্মীয় স্বজনরা কালিগজ্ঞ থানার অফিসার ইন চার্জ হাসান হাফিজুর রহমান কে ও ওসি তদন্ত রাজিব হাসান কে ও মামলার আইও কে ফুলের মালা দিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তিনি আরো বলেন,কালিগজ্ঞ থানা পুলিশের  কমিটমেন্ট ছিল মোশাররফ চেয়ারম্যানের মেয়ে শাফিয়া পারভিনের কাছে(মামলার বাদিনী) দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রকৃত আসামীদের সনাক্ত করে গ্রেপ্তার করবো।এই হত্যাকান্ডের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবো।

এদিকে মূল কাজটুকু ন্যায় নীতি ও সততা নিয়ে কাজ করতে পারায় মহান আল্লাহ তালার কাছে শুকরিয়া আদায় করছেন কালিগজ্ঞ থানা পুলিশ।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন