সিটিজেন জার্নালিস্ট(জিমি): কলারোয়ার তরকারীতে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে অচেতন করে ছিনতাই করার পরিকল্পনার অভিযোগে ২ ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।ঘটনাটি ধানদিয়া কাচারীপাড়াতে ঘটেছে।আটক কৃত আসামীর নাম রাসেল ও মন্টু।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়,বাদী আব্দুস সবুর মোড়ল তার বাড়িতে পোষা ২ টো গরু বিক্রি করে ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা ঘরের আলমারিতে রাখেন।
সেই টাকা নেওয়ার উদ্দেশ্যে আসামী রাসেল অদ্য ২৫ শে সেপ্টেম্বর আব্দুস সবুরের রান্না ঘরে প্রবেশ করেন রাত ৯ টার সময়।এসময় পিছন থেকে আব্দুস সবুরের স্ত্রী নাজমা দেখতে পান যে আসামী রাসেল চুলার উপরে রাখা তরকারীতে কি যেন সাদা পাউডার মেশাচ্ছেন।এসময় নাজমা খাতুন কে কে বলে ডেকে উঠলো আসামী রাসেল ছুটে পালিয়ে যায়।পরে ঘটনাস্থলে রাসেলোর একটি স্যান্ডেল থেকে যায়।সেই বার্মিস স্যান্ডেল এলাকাবাসীকে দেখালো তারা সনাক্ত করতে পারে যে একটি পাড়ার রাসেলের স্যান্ডেল।মামলার বিররনীতে আরো উল্লেখ করা আছে আসামী রাসেল কে গ্রামের স্থানীয় চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যানের সাহায্যে ধরে আনা হয় বিষয়টি শোনার জন্য।পরে সকলের চাপের মুখে আসামী রাসেল অকোপটে স্বীকার করে বলেন যে ,সে আর তার জনৈক বন্ধু কামরুজ্জামান মন্টু মিলে পরিকল্পনা করেছিলো বাদী (সবুরের) গরু বিক্রির টাকা আছে ১ লক্ষ ৪০ হাজার।টাকা গুলো রাতে ছিনতাই করে নেওয়ার জন্য সে তরকারীর মধ্যে ঘুমের ঔষধ দিয়েছিলেন।পরে বাদী সবুর ,আসামী করে রাসেল ও মন্টুর নামে কলারোয়া থানায় একটি এজাহার দাখিল করেন। এজাহার পাওয়ার পরপর ই কলারোয়া শরসকাটি ফাড়ির ইনচার্জের নিকট মামলাটির দায়িত্ব ভারপড়ে।
এ বিষয়ে সরশকাটি ফাড়ির ইনচার্জ সাব-ইন্সপেক্টর আসাদ সাদিক আপডেট সাতক্ষীরা ডটকম কে জানান,মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ায় পরপরই অভিযুক্ত আসামীদ্বয় রাসেল ও মন্টু কে রাতেই গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছে যে তারা অন্তজেলার অজ্ঞানপার্টি-মলমপার্টির সক্রিয় সদস্য।তিনি আরো জানান,ধৃত আসামীদের নামে কলারোয়া থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।