নিজস্ব প্রতিনিধি : এ নিয়ে শহরের আনাচে কানাচে শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন। নাম শোনা যাচ্ছে প্রায় ডজন খানেক ব্যক্তির। এদের মধ্যে কেউ রাজনীতিবিদ, কেউ সাবেক ছাত্রনেতা আবার কেউ ব্যবসায়ী। সাতক্ষীরার প্রেসক্লাব সহ চায়ের আড্ডা থেকে শুরু করে এমনকি রাজনৈতিক দলের অফিস পর্যন্ত চলছে এ নিয়ে আলোচনা। সাতক্ষীরা শহরবাসীর মুখে এখন তাদের ভবিষ্যৎ যুবলীগের অভিভাবক হিসেবে তাদের প্রিয় নেতা, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাবেক সদস্য, ক্লীন ইমেজের অধিকারী, বিশিষ্ট ক্রীড়ানুরাগী রাজ পথের লড়াকু সৈনিক জি.এম ওয়াহিদ পারভেজ কে দেখার অপেক্ষায়। সাতক্ষীরা জেলা যুবলীগের নেতৃত্বে দেখতে চায় এমন খবরে ওয়াহিদ পারভেজের নাম সোস্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে।

কে এই ওয়াহিদ পারভেজ……?
সাতক্ষীরা শহরের ঐতিহ্যবাহী সুলতানপুরের জি.এম নূর ইসলাম ও মোছাঃ রনজিদা বেগমের কোলজুড়ে ১৯৮০ সালের ১০ ই সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহন করেন ওয়াহিদ পারভেজ। ওয়াহিদ পারভেজ সেই শিশুকাল থেকেই দুরন্তপনা ও অন্যায়ের প্রতিবাদী ছিলেন। ১০ বছর বয়সে সুলতানপুরের বড় ভাইদের সাথে হাফপ্যান্ট পরাকালীন সময় স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে যোগ দেন। এরপর ১৯৯৩ সালে রাজাকার গোলাম আজমের সাতক্ষীরা আগমনে বাঁধা প্রদানে ভূমিকা রাখেন। ১৯৯৬ সালের ১৫ ই ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার পাতানো নির্বাচনকে রুখে দিতে সাতক্ষীরা পি.এন হাইস্কুল ভোট কেন্দ্রে অবৈধ ব্যালট বাক্স বাঞ্চাল করেন। এলাকায় প্রাথমিকের গন্ডি পেরিয়ে ঢাকায় প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষালাভের পাশাপাশি ক্রীড়াঙ্গন ক্রিকেটে নাম লেখান। তিনি বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বি কে এস পি) নিয়মিত ছাত্র ছিলেন। এরপর তিনি ভারতের ভিরুদনগর কলেজ অব ফিজিক্যাল এডুকেশন, মাদ্রাস থেকে ক্রিকেটে উচ্চতর ডিগ্রী লাভ করেন।সেখান থেকে দেশে ফিরে জাতীয় প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগ, ঢাকা ইয়ং ক্রিকেটার্স ক্লাব এর ক্রিকেটার ছিলেন। এবং জাতীয় যুব ক্রিকেট দলে প্রাথমিক বাছাই পর্বে সুযোগ পেয়ে অনুশীলন শুরু করেন কিন্তু রাজনৈতিক কারনে প্রতিভা থাকা সত্তেও চুরান্ত সুযোগ পাননি। ২০০২ সালে বাংলাদেশের সর্বকনিষ্ঠ ক্রীড়া লেখক হিসেবে তার লেখা “ক্রিকেট ও সংস্কৃতি” বইটি সারাদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করে এবং তিনি জাতীয় মর্যাদা পান। দায়িত্ব পালন করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের অধীনে মিরপুর-১ এর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এবং মিরপুর-২ এর ন্যাশনাল বাংলা স্কুলেও তিনি ক্রিকেট কোচ হিসেবে সফলতার সহিত দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি শেওড়াপাড়া অলষ্টার ক্রিকেট ক্লাব ও কোচিং সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০৬-০৭ এর মাঝামাঝিতে লগি-বৈঠা আন্দোলনে বর্তমান ঢাকা-১৫ আসনের এমপি কামাল মজুমদার এবং ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মঈনুল হোসেন নিখিলের সহযোদ্ধা হয়ে ঢাকার রাজপথে আন্দোলন করেন। এই সময় তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জরুরী আইনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে দীর্ঘ ১৪ মাস ১৭ দিন কারাভোগ করেন। এরপর জেল থেকে মুক্তি পেয়ে আবার সাতক্ষীরার মাটিতে বীরের বেশে পদার্পণ করে।

স্থানীয় ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। বর্তমানে তিনি সাতক্ষীরা মাদকবিরোধী যুব ফাউন্ডেশনের সভাপতি, এবং সাতক্ষীরা শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র, সাধারন সম্পাদক দায়িত্ব পালন করছেন এছাড়াও সাতক্ষীরার কয়েকটি সামাজিক সংগঠনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ২০১২ সালে সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী হয়ে তৎকালীন (বদিউজ্জামান সোহাগ-সিদ্দিকী নাজমুল আলম) কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কার্যকরী সদস্য মনোনীত হন। সরকারের পক্ষে এমন কোন আন্দোলন নেই যেখানে ওয়াহিদ পারভেজকে দেখা যায় না।সাতক্ষীরার জামায়াত-শিবিরের ত্রাশ ওয়াহিদ পারভেজের রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে কখনো মনোমালিন্য তো দূরের কথা সু-সম্পর্কে পরিনত হওয়ার কারনেই তিনি সাতক্ষীরার সকল উপজেলা বাসিন্দাদের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে পরিছন্ন নেতা হিসেবে। তিনি সাতক্ষীরার উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, বিয়ে-সাদী, জন্মদিন, কুলখানীসহ সকল কর্মকান্ডে নিজেকে জড়িয়ে হয়ে উঠেছে সাতক্ষীরা বাসীর বিশ্বস্ত সঙ্গী। সরকারের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার মধ্যে তিনি বসে, সরকারের সকল উন্নয়ন কর্মকান্ডে জড়িত রয়েছে তিনি। এদিকে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগ নেতারা জানান, সরকারের শেষ সময়ে এ নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে তারা। এজন্য সাতক্ষীরাবাসী ওয়াহিদ পারভেজের মত সৎ ও পরিচ্ছন্ন যুবনেতাকেই তারা আগামীর সাতক্ষীরা জেলা যুবলীগের নেতৃত্বে দেখতে চায়।

সূত্রঃ সময়ের বার্তা ডটকম।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন