যশোরের কোতয়ালী থানা পুলিশ ৬ হাজার পিস ইয়াবা বড়ি ও নগদ ৯২ হাজার টাকা সহ সুমী বেগম (৩৫) নামে এক নারী মাদক সম্রাজ্ঞীকে আটক করেছে।আটককৃত আসামী উপশহর ৭ নম্বর সেক্টরের ডি ব্লক এলাকার ১৩ নম্বর বাড়ির মালিক আনিসুজ্জামান পিন্টুর ভাড়াটিয়া। এবং খড়কী এলাকার রকিম মোল্লার মেয়ে। সুমী বেগম, ইয়াবার ডিলার হিসাবে পরিচিত। তিনি একটি মাদক মামলার ৬ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি।

কোতয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব অপূর্ব হাসান আপডেট সাতক্ষীরা প্রতিবেদক কে জানিয়েছেন, মাস খানেক আগে সুমী উপশহর এলাকার আনিসুজ্জামানের বাড়িটি ভাড়া নেন। সেখানেই থেকে ইয়াবা কেনাবেচা করে থাকে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে গোপন সূত্রে সংবাদ পেয়ে ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। পরে তার ঘরের ভেতর একটি হাড়ির ভেতর থেকে ৬ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। একই সাথে মাদক বিক্রির নগদ ৯২ হাজার টাকা জব্দ করা হয়েছে।
ওসি আরো জানান,এই অভিযানে উপশহর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ সাব-ইন্সপেক্টর ফারুক হোসেন, এএসআই শরীফ উদ্দিন,এএসআই সাইমন ঢালী সহ অন্যান্য পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। ক্যাম্প ইনচার্জ সাব-ইন্সপেক্টর ফারুক হোসেন জানিয়েছেন, সুমী দীর্ঘ দিন বাইরে থেকে ইয়াবা নিয়ে এসে যশোরে বিক্রি করে থাকেন। একস্থানে তিনি বেশিদিন অবস্থান করেন না। ফলে এতোদিন তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি। আটক সূমি বেগম জানিয়েছেন, এই ইয়াবা তার না। ফয়সাল নামে এক যুবকের। তার বাড়ি বরিশালে। সম্প্রতি সে ইয়াবাসহ পুলিশের হাতে আটক হয়। তার ধারনা আমি ওই ইয়াবাসহ পুলিশ দিয়ে আটক করিয়েছি। ফলে ফয়সাল তাকে পুলিশ দিয়ে আটক করিয়েছে। তবে উপশহর এলাকার একটি সূত্র জানিয়েছে, সুমী ইয়াবার বড় বড় চালান নিয়ে যশোরে আসেন এবং তা বিক্রি করে থাকেন। সম্প্রতি তিন লাখ টাকার একটি ইয়াবার চালান তিনি বিক্রি করেন। কিন্তু ইয়াবা ক্রেতারা তার সাথে প্রতারনা করে। টাকা দেয়ার সময় তিন লাখ টাকার তিনটি এক হাজার টাকার নোটের বান্ডিল দেয়া হয়। ওই বান্ডিল গুলো সাজানো হয়েছিল উপরে টাকা রেখে ভেতরে সাদা কাগজ দিয়ে। ঠিক সিনেমার গল্পের মতো। পরে বান্ডিল খুলে কাগজ দেখতে পান। এই নিয়ে ওই গ্রুপের সাথে তার দ্বন্ধ চলে আসছিল। তাকে শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজাতে পাঠানো হয়েছে।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন