বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’ উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানতে পারে এমন আশঙ্কায় সাতক্ষীরায় পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়।
জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় জানানো হয়, দুর্যোগ মোকেবেলায় আশাশুনি উপজেলায় দেড় হাজার ও শ্যামনগর উপজেলায় দুই হাজার একশ সিপিপি সদস্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলা ও উপজেলায় খোলা হয়েছে কন্ট্রোলরুম। উপকূলীয় এলাকায় সকল মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকাকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়ছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে মেডিকেল টিম। তাছাড়া ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে জনগণকে সতর্ক করতে প্রচারাভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে উপকূলীয় বেড়িবাঁধের ৩৩টি পয়েন্ট মারাত্মক ঝূঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। কালিন্দী, মাদার, চুনকুড়ি, কপোতাক্ষ ও খোলপেটুয়া নদীর পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। শ্যামনগর উপজেলার বুড়ি গোয়ালিনী ইউনিয়নের পূর্ব দুর্গাবাটী খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
বুড়ি গোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভবতোষ কুমার মন্ডল জানান, বুধবার দুপুর থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে। খোলপেটুয়া নদীর বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। তিনি ও স্থানীয় ইউপি সদস্য ভাঙনকবলিত এলাকায় থেকে ভাঙন রোধে কাজ করছেন।
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন বলেন, সারা দেশে ৪নং সর্তকতা সংকেত জারি রয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’ আঘাত হানতে পারে। তবে সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকা তেমন ঝুঁকির মধ্যে নেই। তবুও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবধরনের সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।