স্টাফ রিপোর্টার : সকল বিভ্রান্তি দূর করে সংবিধান অনুযায়ী শেখ হাসিনার অধীনেই একাদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি এই নির্বাচনে অংশ না নিলে তাদের অস্তিত্ব থাকবে না। দেশে বাটি চালান দিয়েও তাদের খুঁজে পাওয়া যাবে না। আর নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র করলে জনগণ তাদের আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করবে।
শনিবার বিকেলে নগরীর হাদিস পার্কে ১৪ দলের সমন্বয়ক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম জনসভায় বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু ও শেখ আবু নাসেরের স্মৃতি বিজড়িত খুলনা। তাই খুলনার মানুষের প্রতি শেখ হাসিনার অকৃত্রিম ভালবাসা। সেকারণেই অধিক গুরুত্ব দিয়ে খুলনার জন্য বরাদ্দ রাখা হয়।
১৪ দলের জেলা ও নগর শাখা আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, জাতীয় নির্বাচনের প্রচারাভিযানের অংশ হিসেবে এ জনসভার আয়োজন। বাংলাদেশে নির্বাচন হবে যেমন ইউরোপ ও আমেরিকায় হয়। জাতীয় যুক্ত ফ্রন্টের নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র বাঙালি প্রতিহত করবে। জাতি ষড়যন্ত্র চায় না, উন্নয়ন চায়। দেশে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব অটুট থাকুক এটাই সকলের চাওয়া।
তিনি আরও বলেন, মেসি নেইমার গোল মিস করতে পারে, শেখ হাসিনা গোল মিস করবে না। যদি বুকের পাটা থাকে নির্বাচনে আসেন। ফাউল করবেন না, ফাউল করলে লাল কার্ড দেখিয়ে দিবো। বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আপনি ক্ষমতায় ছিলেন, স্বামী হত্যার বিচার করতে পারেননি। আপনি কোনো অপরাধের বিচার করতে জানেন না। তাই চক্রান্ত শুরু করেছেন। শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই, তার বিকল্প শেখ হাসিনা। এই দুনিয়ার কেউ ঠেকাতে পারবে না, নির্বাচন হবেই।
বিডিআর বিদ্রোহ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিডিআর হামলা চালানো হয়েছে। আমরা বিডিআর আইনেই তার বিচার করেছি।
নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক জনসভায় সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন সাম্যবাদী দলের সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, বাংলাদেশ জাসদ সভাপতি শরীফ নূরুল আম্বিয়া, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডাঃ শাহাদাৎ হোসেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য মন্নুজান সুফিয়ান, এস এম কামাল হোসেন, ম্যাপ (মোজাফফার) এর কেন্দীয় নেতা ইসমাঈল হোসেন, জেপি’র মহাসচিব শেখ শহিদুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান শরীফ শফিকুল হামিদ চন্দন, সাম্যবাদী দলের স্থানীয় নেতা এফ এম ইকবাল হোসেন, ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা মিনা মিজানুর রহমান, সংসদ সদস্য মুহাম্মদ মিজানুর রহমান মিজান, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাড. সুজিত অধিকারী। সমাবেশে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ১৪ দলের ব্যানারে মিছিল সহকারে যোগদান করেন।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন