প্রকাশিত সংবাদের তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাতক্ষীরা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক জনাব শাহরিয়ার হাসানের নেতৃত্বাধীন টিম। সুত্র মোতাবেক,গত ১৬ ই অক্টোবর ২০১৮ তারিখ সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক পত্রদূত্রে প্রকাশিত “আইজিপির কাছে আত্মসমর্পণ করেও শেষ রক্ষা হলোনা সিরাজুলের” শীর্ষক সংবাদটি আমার ও আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদের প্রথম অংশে লেখা গত ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখ মাদক ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম আইজিপি মহোদয়ের সামনে আত্মসমর্পণ করেন আশাশুনির উপজেলার ইউপি চেয়ারম্যান সাকিল চেয়ারম্যানের মাধ্যমে এবং মাদক সম্রাট সিরাজুল দাবি করেন যে, সে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে।কিন্তু পুলিশের বিশ্বস্ত সোর্স ও এলাকাবাসী ডিবি পুলিশ কে তথ্য দেন,যে মাদক ব্যবসায়ী সিরাজুল লোকদেখানো আত্মসমর্পণ করেও সে ভালো হয়নি।বরং সে গোপনে নিয়মিত মাদক ব্যবসা করে যাচ্ছেন।এমন তথ্যের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর ফারুক হোসেন পুনরায় তাকে ৩০ বোতল ফেন্সিডিল সহ কাটিয়া এলাকা থেকে আটক করেন।
প্রকাশিত সংবাদে আরো লেখা হয়েছে ২ লক্ষ টাকা না পেয়ে ডিবি পুলিশ ৩০ বোতল ফেন্সিডিল দিয়ে সিরাজুল কে চালান করে দিয়েছে।এবিষয়ে গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক শাহরিয়ার হাসেনের ব্যক্তত্ব হলো…৩০ বোতল ফেন্সিডিলের বাজার মুল্য আনুঃ ১০০০×৩০ = ৩০ হাজার টাকা।পুলিশের খেয়ে কাজ আছে যে এই ভয়াবহ মাদক বিরোধী অভিযানের সময় ৩০ হাজার টাকার ফেন্সিডিল কিনে সিরাজুলের মত মাদক ব্যবসায়ীকে চালান দেবে?? তিনি আরো বলেন,ডিবি পুলিশ কি ফেন্সিডিলের ডিলার!! যে, যখন তখন ডিবি পুলিশের কাছে ৩০ বোতল ফেন্সিডিল মজুদ থাকে।
প্রকাশিত সংবাদে আরো লেখা হয়েছে মাদক ব্যবসায়ী সিরাজুল আটকের পর তার স্ত্রী সালমা খাতুন ডিবি কার্যালয়ে গেলে স্বামীকে ছাড়ানোর জন্য নাকি ডিবি পুলিশ ২ লক্ষ টাকা দাবি করেন সালমা খাতুনের কাছে।আর টাকা না দিলে তার স্বামীকে চালান দেওয়া হবে বলে হুমকি প্রদান করেন ডিবি পুলিশ।এবিষয়ে ডিবি পুলিশের পরিদর্শক শাহরিয়ার হাসান দুঃখ প্রকাশ করে বলেন,মাদক ব্যবসায়ী সিরাজুলের স্ত্রী সালমা খাতুন একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী।সে ঘরে বসে গাঁজা ও ফেন্সিডিল বিক্রি করে।তিনি আরো জানান,সালমা খাতুনের নামে আশাশুনি থানায় একটি মাদক মামলা রয়েছে। যার মামলা নং ১৮ তাং ২৮/০৫/২০১৮ খ্রিঃ।ডিবি পরিদর্শক শাহরিয়ার হাসান আরো বলেন,মাদক ব্যবসায়ী সালমা তার স্বামী সিরাজুল কে ছাড়ার শর্তে ডিবি পুলিশ কে ২ লক্ষ টাকা ঘুষ দেওয়ার অফার করেন।যার কারনে সালমাকে তার স্বামীর সাথে চালান করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছিল।
প্রকাশিত খবরে লেখা হয়েছে গত ১২ ই রমজান গোয়েন্দা পুলিশ শাহরিয়ার টিমের সদস্যরা তাকে(সালমা খাতুন) কে মুরগী বেঁচা ৫৫ হাজার টাকা ও তার স্বামীর মটর সাইকেল সহ ২০০ গ্রাম গাঁজা সহ চালান দেন।এবিষয়ে ডিবি পুলিশের পরিদর্শক জনাব শাহরিয়ার হাসান বলেন, ১২ ই রমজান অথাৎ ২৮ শে মে ২০১৮ তারিখ মাদক ব্যবসায়ী সালমা খাতুন বা তার স্বামী কে আমার টিমের কোন সদস্য গ্রেপ্তার করেন নি।অফিস নথি সুত্রে জানতে পারলাম তাদের কে গ্রেপ্তার করেছিলো তৎকালিন সাব-ইন্সপেক্টর আশরাফুল আলম এবং ঐ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন সাব-ইন্সপেক্টর মুক্তরায় চৌধুরী(পিপিএম)। সুতরাং এ বিষয়ে আমাদের কোন তথ্য জানা নেই।অথচ সংবাদে লেখা হয়েছে সংবাদে লেখা হয়েছে ডিবি পুলিশের পরিদর্শক শাহরিয়ার হাসানের সদস্যরা তাদের কে ধরে জেলে পাঠিয়ে ৫৫ হাজার টাকা ও মটর সাইকেল গায়েব করে দিয়েছে।
সর্বশেষ প্রশ্ন শেষে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক শাহরিয়ার হাসান আপডেট সাতক্ষীরা ডটকম কে জানান,উপরোক্ত প্রশ্নের উত্তর গুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে ডিবি পুলিশ পরিদর্শক শাহরিয়ার হাসান,সাব-ইন্সপেক্টর ফারুক ও সহকারী সাব-ইন্সপেক্টর মাজেদের নামে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে,তা সম্পুর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্যেশ্য প্রণোদিত।তিনি আরো বলেন, ২০১৮ সালের জানুয়ারী মাস থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত অথাৎ আজো পর্যন্ত সাতক্ষীরা জেলার সর্বকালের সর্ব বৃহৎ বড় ইয়াবা বড়ির চালান ২২ হাজার পিস ইয়াবা আটক করেছি আমরা।এছাড়া জেলায় রেকর্ড ব্রেক পরিমান মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার, জামাত-বিএনপি ও নাশকতা মামলার আসামী আটক করে জেলা পুলিশের মাসিক কল্যান সভায় আমাদের টিম কয়েকবার চৌকশ পুলিশ অফিসারের সন্মাননা পুরুস্কার পেয়েছেন। এমনকি চলতি মাসেও আমাদের টিমের সাব-ইন্সপেক্টর রিয়াদুল ইসলাম জেলা পুলিশের মাসিক অপরাধ সভায় জেলার শ্রেষ্ঠ এসআই সন্মাননা পেয়েছেন পুলিশ সুপার মহোদয়ের নিকট থেকে।পরিদর্শক শাহরিয়ার হাসান আরো বলেন,জেলার মাদক সিন্ডিকেটের ব্যবসায়ীরা,জামাত-শিবিরের মদতদাতারা সংঙ্গবদ্ধ হয়ে সাতক্ষীরা গোয়েন্দা পুলিশের চলমান অভিযান কে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়ে গুটি কয়েক হলুদ সাংবাদিক ও মাদক ব্যবসায়ীরা সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশের সুনাম ও ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করার লক্ষেই এই জাতীয় ভিত্তিহীন সংবাদ পাবলিশ করেছে।