রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িতদের ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে আহত পুলিশ সদস্যদের শারীরিক অবস্থা দেখে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, যারা পুলিশের গাড়ি পুড়িয়েছে, হত্যার উদ্দেশ্যে লাঠিচার্জ করেছে তাদের নামে তো মামলা হবেই। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে আসামিদের শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পুলিশের উপর যেভাবে নির্যাতন করা হয়েছে এরচেয়ে বেশি হলে প্রাণহানি হওয়ার আশঙ্কা থাকতো, তবে সেটা ঘটেনি।
এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা চাচ্ছিল প্রাণহানি ঘটিয়ে আশঙ্কাজনকভাবে নির্বাচনকে বানচাল করা, কিংবা তাদের অশুভ উদ্দেশ্য থাকতে পারে। তা না হলে এ ধরনের আক্রমণ করার কোন মানে হয় না।
আসাদুজ্জামান কামাল বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের ২৩ জন সদস্য আহত হয়েছেন। এরমধ্যে পুলিশর পাঁচজন অফিসার, ১৬ জন সদস্য ও দুইজন আনসার রয়েছেন।
এসময় পুলিশ মহাপরিদর্শক ( আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, ডিআইজি কৃষ্ণপদ রায়সহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে আহত পুলিশ সদস্যদের খবর নেয়ার একপর্যায়ে ডিএমপি কমিশনার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেন, আমরা যখন জানতে পারি এ ধরনের ঘটনা ঘটছে, তখন আমি মির্জা ফখরুলকে ফোনে বলি ‘‘গত দুই দিন আপনারা উসব মুখর পরিবেশ বজায় রেখেছেন, আজ কেন এমন সহিংসতার ঘটনা ঘটছে, কেন আমাদের সদস্যদের ওপর হামলা হচ্ছে, গাড়ি পোড়ানো হচ্ছে, যারা এ ঘটনায় জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেবো।”
ফখরুলকে ফোন দেয়ার পর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয় বলে মন্ত্রীকে জানান ডিএমপি কমিশনার।
কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চ্যানেল আই অনলাইনকে জানিয়েছে, আহতদের চিকিৎসা চলছে, এদের ভেতর তিনজনের অবস্থা গুরুতর। অধিকাংশের মাথায়, বুকে কাঁধে আঘাত লেগেছে। বৃহস্পতিবার তাদের সিটি স্ক্যান করানো হবে।
সূত্র: চ্যানেল আই অনলাইন।