ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ২য় বর্ষের মেধাবী ছাত্রীর পিতার চিকিৎসায় ৫০ হাজার টাকা সাহায্য করে মহত্বের নজির বিহিন দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন সাতক্ষীরার সাবেক সফল জেলা প্রশাসক, ভিক্ষুক মুক্ত খুলনা বিভাগের রুপকার, সাবেক বিভাগীয় কমিশনার ও বর্তমান নৌ পরিবহণ সচিব জনাব মো:আবদুস সামাদ।
সূত্র জানায়, কুষ্টিয়ার খায়রুল নামক এক ফেসবুক কবি কিছুদিন আগে তার নিজের ফেইজবুক আইডি থেকে একটি সাহায্য চেয়ে আবেদন জানান।সাহায্যের আবেদনে খায়রুল লেখেন, খুলনার মেয়ে নাম কিমিয়ার,সে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে দ্বিতিয় বর্ষে এমবিবিএস (ডাক্তারী) পড়েন।তার বাবার দুটো কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে।তার বাবার চিকিৎসা করতে এতো বেশি খরচ হয়ে গেছে যে মেয়েটির মেডিকেলে পড়াশুনা করা খুব কষ্টকর হয়ে পড়েছে। উক্ত সাহায্যের আবেদনটি কুষ্টিয়ার ফেইজবুক কবি খায়রুল সাবেক বিভাগীয় কমিশনার ও নৌপরিবহণ সচিব জনাব মোঃআবদুস সামাদ মহোদয়ের Samad Faruq ফেইজবুক আইডি সহ আরো অনেক কে ট্যাগ করে দেন।
ফেইজবুকের সাহায্যের আবেদনটি নৌপরিবহন সচিব জনাব মো: আবদুস সামাদ মহোদয়ের হৃদয়ে নাড়া দেন।পরে ঐ পোষ্টে নৌপরিবহন সচিব আবদুস সামাদ মহোদয় সাহায্যের আবেদন পেশ কারী খায়রুল কে কমেন্ট করে লিখে দেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে অধ্যায়নরত খুলনার মেয়ে কে তার দপ্তরে নিয়ে আসার জন্য।পরে টেলিফোনে যোগাযোগ করে এমবিবিএস ছাত্রী কিমিয়ার আজ সকালে নৌপরিবহন সচিব জনাব মো:আবদুস সামাদ মহোদয়ের কার্যালয়ে আসেন।এসময় নৌপরিবহণ সচিবের পত্নী জনাব সুলতানা নিলুফার জাহান উপস্থিত ছিলেন।
মেয়েটির কাছে নৌপরিবহন সচিব ও সচিবের পত্নী বিস্তারিত ঘটনা শুনে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন।এসময় নৌপরিবহন সচিব মেডিকেলে অধ্যায়ন রত মেয়েটির মাথায় হাত বুলিয়ে বলেন দু:খ করোনা মা।আমরা প্রশাসন পরিবার তোমার পাশে আছি।তোমার যখন যা সমস্যা হবে তুমি আমাদের কে জানাবে।আমি প্রয়োজনে স্বাস্থ্য সচিবের সাথে কথা বলবো ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে তোমার স্বল্প খরচে অধ্যায়ন করার জন্যে।পরে নৌপরিবহন সচিব জনাব মো:আবদুস সামাদ ও নৌপরিবহন সচিব পত্নী জনাব সুলতানা জাহান নিলুফা মেডিকেল ছাত্রী কিমিয়ার হাতে নগজ ৫০,০০০/= পঞ্চাশ হাজার তুলে দেন তার পিতার চিকিৎসা ও নিজের লেখাপড়ার খরচ হিসাবে।