পৃথিবীর সেই সপ্তম আশ্চর্যের মমতাজমহল- যা দেখার লোভ প্রেসিডেন্ট ক্লিনটনও সামলাতে পারেনি। বউকে ভালবেসে যে এত বড় ইতিহাস সৃষ্টি করা যায়– তা এত বছর আগেই সম্রাট শাহজাহান তা প্রমান করেছেন । কোন কিছু লিখে বা বর্ননা দিয়ে এর গভীরতা বুঝানো যাবে না। অন্তর দিয়ে অনুভব করতে হবে। এর নিপুন কারুকাজ কাছ থেকে দেখে গভীরভাবে উপলব্ধি করলে হয়ত কিছুটা আন্দাজ করা যাবে।

শাহজাহান-মমতাজের প্রেমকাহিনীর পেছনের ইতিহাস

সম্রাট শাহজাহান ও মমতাজের প্রেম কাহিনী বিশ্বের সাড়া জাগানো প্রেম কাহিনীগুলোর মধ্যে অন্যতম। তাদের মতো এরকম অমর প্রেম কাহিনী আরও অনেক রয়েছে। তবে সম্রাট শাহজাহান ও মমতাজের প্রেম কাহিনীটি একটি বিশেষ কারণে সাড়া জাগিয়েছে। তা হলো মমতাজের জন্য সম্রাট শাহজাহানের বানানো বিখ্যাত সেই তাজমহল।

সম্রাট শাহজাহান ও মমতাজের প্রেমের সংক্ষিপ্ত ঘটনা:

সময়টা ছিল ১৬১২ খ্রিষ্টাব্দ। সম্রাট শাহজাহানের বয়স তখন ২০ বছর। একদিন আগ্রার বাজার দিয়ে যাওয়ার পথে হঠাৎ শাহজাহানের চোখ চলে যায় পরমা সুন্দরী এক মেয়ের দিকে। আরজুমান্দ বেগম নামের মেয়েটির বয়স ১৫। প্রথম দেখাতেই আরজুমান্দ বেগমকে ভালো লেগে যায় শাহজাহানের। পরবর্তীতে ১৬১২ খ্রিস্টাব্দের ১০ মে মমতাজের বিয়ে হয় যুবরাজ খুররমের (সম্রাট শাহজাহান) সঙ্গে। (কিন্তু উইকিপিডিয়ায় বলা আছে বিয়ের সময় তাদের দুজনের বয়স ছিল যথাক্রমে ১৫ ও ১৪)। তবে এর আগে রাজনৈতিক কারণে পারস্যের রাজকন্যাকে বিয়ে করেন সম্রাট শাহজাহান। পরবর্তীতে সম্রাট শাহজাহান তার স্ত্রীর নাম পরিবর্তন করে রাখেন মমতাজ। মমতাজই ছিলেন শাহজাহানের সব চেয়ে প্রিয় বেগম । উনিশবছরের বিবাহিত জীবনে মমতাজের মোট চোদ্দটি সন্তান হয়। মমতাজ ১৬৩১ সালে ৩৯ বছর বয়সে বুরহানপুরে ১৪তম সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মারা যান। স্ত্রী হারানোর শোকে মুহ্যমান শাহজাহান তাঁর প্রাণপ্রিয় স্ত্রীর স্মৃতির জন্য নির্মাণ করেন ভালবাসার এই অপরূপ নিদর্শন। স্ত্রীর মৃত্যুর পর সাতদিন সাতরাত শাহজাহান কিছু খান নি। ঘর থেকেও বার হন নি। সাতদিন পর শাহজাহান বাইরে বেরোলেন। তখন তার চুলের রং ধুসর হয়ে গেছে , মুখ ফ্যাকাসে





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন