প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এখন বাংলাদেশের অর্থনীতি যথেষ্ট মজবুত। উন্নয়নমূলক কাজের সিংহভাগই নিজস্ব অর্থায়নে করার সক্ষমতা আমরা অর্জন করেছি। বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হবে।’আজ রবিবার প্যান প্যাসিফিক হোটেল সোনারগাঁওয়ে ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে ‘জাতীয় রপ্তানি ট্রফি’ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এগিয়ে যাওয়া আর কেউ থামাতে পারবে না।’অনুষ্ঠানে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডসহ ৫৬টি প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় রপ্তানি ট্রফি ২০১৫-১৬’ প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী।প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘এক সময় বাংলাদেশের নাম শুনলে অনেকে নাক সিটকাতো। বাংলাদেশ নাম শুনলেই যেন ঝড়, বন্যা, দুর্ভিক্ষ ও ভিক্ষার ঝুড়ি নিয়ে যাওয়া বুঝাতো। সেই অবস্থা এখন আর নেই। আর কেউ বাংলাদেশকে অবহেলা করতে পারে না।’ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের জন্য আমরা অনেক সুযোগ করে দিচ্ছি। আর আমার দরোজাতো সবসময় খোলাই থাকে, কোনো প্রটোকল নেই, কিছু নেই। কোনো সমস্যা হলে নিশ্চিন্তে আমার সঙ্গে শেয়ার করতে পারেন।’তিনি বলেন, কোন পণ্য কোথায় রপ্তানি করা ভালো হবে সেটা বোঝার চেষ্টা করুন। সরকার যতটা পারে সহায়তা করবে। যদিও সময় বেশি নেই, সামনে নির্বাচন। ইলেকশনে কি হবে বলতে পারি না। তারপরও যতটা সময় আছে এর মধ্যেই যা সম্ভব করে দিবো।’বক্তব্যে দেশের রপ্তানির উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, ‘ক্ষমতায় এসে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মধ্যে প্রধান লক্ষ্য ছিলো দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন। রপ্তানি কিভাবে বাড়াতে পারি সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দিয়েছি। ব্যবসা বাণিজ্যের সঙ্গে আমি নিজেকে সম্পৃক্ত করি না, ওসব বুুঝিও না। তারপরও যতটা সম্ভব সহায়তা করে যাচ্ছি।’তিনি বলেন, এসবের ধারাবাহিকতায় এখন বাংলাদেশ উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে। আগে বছরব্যাপী রপ্তানি নীতিমালা ছিল। পরে সেটা দীর্ঘমেয়াদি করেছি। একটা কাজ ভালোমতো করতে হলে তো লম্বা সময়ের প্রয়োজন হয়। পণ্য পরিবহনে সুবিধার জন্য রেল ও নৌব্যবস্থার উন্নয়নেও আমরা নজর দিচ্ছি। অথচ আমাদের আগের সরকার কারো প্রেসক্রিপশনে রেল বন্ধ করে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল। কয়েকটি রেললাইন বন্ধও হয়েছিল।’