সিটিজেন জার্নালিস্ট(জিমি): সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় আইন-শৃংখলা রক্ষায় বিশেষ অবদান রাখায় জেলা গোয়েন্দা শাখার শ্রেষ্ঠ চৌকশ পুলিশ হিসাবে সন্মাননা ক্রেস্ট অর্জন করেছেন ডিবির সাব-ইন্সপেক্টর রিয়াদুল ইসলাম।
জেলা পুলিশের বিশেষ সূত্র জানায়,আজ বুধবার ০৫ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখ সকাল ১০.১৫ মিনিটে পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের নভেম্বর/১৮ মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।অপরাধ পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার জনাব মো:সাজ্জাদুর রহমান।জেলা পুলিশের হেড কোয়াটার্সের সহকারী পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় অপরাধ সভায় সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সদ্য পদন্নোতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইলতুৎ মিশ,সদর সার্কেলের এডিশনাল এসপি মেরিনা আক্তার,কালিগঞ্জ সার্কেলের এডিশনাল এসপি মো:জামিরুল ইসলাম,তালা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার অপু সরোয়ার,দেবহাটা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ইয়াছীন আলী প্রমূখ।
অপরাধ পর্যারোচনা সভার প্রথমে পুলিশ সুপার আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জেলার আট থানার অফিসার ইনচার্জদের বিশেষ নির্বাচনী ব্রিফিং প্রদান করেন।পুলিশ সুপার অপরাধ সভায় উপস্থিত পুলিশ অফিসার গণ কে উদ্যেশ্যে বলেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ডিসেম্বর মাসের ৩০ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে। সে উপলক্ষে জেলা পুলিশের প্রত্যেকটি পুলিশ সদস্যকে আরো বেশি তৎপর থাকতে হবে।তিনি বলেন সাতক্ষীরায় উৎসব মূখর পরিবেশে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।জনগন তার এলাকার ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নির্ভয়ে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রদান করবে।কোন প্রার্থীর লোক কোন ভোটার কে ভোট প্রদানের লক্ষে চাপ সৃষ্টি করতে পারবেনা।ভোটার তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন।তিনি আরো বলেন নির্বাচন চলাকালীন সময়ে কেউ যেনো ভারী অবৈধ অস্ত্র ও মাদক দ্রব্য বহণ করতে না পারে সেদিনে লক্ষ রাখতে হবে।বৈধ কাগজ পত্র ছাড়া রাস্তায় কোন যানবহণ নামানো যাবেনা।নির্বাচন চলাকালীন সময়ে মটর সাইকেলে দুই জনের বেশি তিন জন যাত্রী তোলা যাবেনা আর চালক ও আরোহী দুই জন কেই হেলমেট পরিধান করতে হবে।প্রার্থীর পক্ষ থেকে নির্বাচনী এলাকায় কেন্দ্রে কেন্দ্রে ঘোরার জন্য মটর সাইকেল বা প্রাইভেট কার বা মাইক্রোবাস চড়ার অনুমতি জেলা রিটানিং অফিসারের কাছ থেকে নিতে হবে।তিনি বলেন ভোট কেন্দ্রে যদি কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠি যদি নাশকতা করার অপচেষ্টা করেন তাহলে আপনারা(পুলিশ) তাদের বিষদাঁত ভেঙে দেবেন।
নির্বাচনী ব্রিফিং শেষে পুলিশ সুপার জেলার সকল থানার পুলিশ অফিসারদের কার্যক্রম মনিটরিং করেন।অপরাধ পর্যালোচনা সভায় যে সকল পুলিশ অফিসারগণ আইন-শৃংখলা রক্ষায় প্রশংসনীয় অবদান রেখেছেন তাদের কে চৌকশ অফিসার হিসাবে সন্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন পুলিশ সুপার।
তারমধ্যে জেলায় একের পর এক হিউজ পরিমান মাদক দ্রব্য উদ্ধার,রেকর্ড ব্রেক পরিমান অস্ত্র উদ্ধার,শিবির সভাপতি ও জিহাদি বই জব্দ করে, নাশকতা মামলার আসামি ও ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসাসি গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা শাখার শ্রেষ্ঠ চৌকশ এসআই হিসাবে সন্মাননা ক্রেষ্ট অর্জন করেছেন সাব-ইন্সপেক্টর রিয়াদুল ইসলাম।সভায় জেলা পুলিশ সুপার মহোদয় তাকে সন্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন।চৌকশ পুরুস্কার গ্রহণের সময় গোয়ান্দা শাখার ইনচার্জ আলী আহম্মেদ হাশেমী উপস্থিত ছিলেন। সাব-ইন্সপেক্টর রিয়াদুল ইসলাম আগষ্ট/১৮ মাসেও জেলা পুলিশের অপরাধ সভায় শ্রেষ্ঠ চৌকশ পুলিশের সন্মাননা পেয়েছিলেন।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ জনাব আলী আহম্মেদ হাশমীর তত্বাবধানে ডিবি পুলিশের পরিদর্শক সিকদার আলী আককাছ(পিপিএম),ডিবি পরিদর্শক শাহরিয়ার হাসান,ডিবি পরিদর্শক হারান চন্দ্র পালের নেতৃত্বাধীন টিম জেলা ব্যাপি নন-স্টপ মাদক-জঙ্গি ও সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান অব্যহত রেখেছে।
তথ্য অনুসন্ধানে আরো জানাযায়,ডিবি পুলিশের ৩টি টিমের ৩ জন চৌকশ পরিদর্শকের অধিনে ২জন করে সাব-ইন্সপেক্টর ও ২ জন করে সহকারী সাব-ইন্সপেক্টর ও ২ জন করে কনস্টেবল কাজ করেন। টিম ১ এর নেতৃত্ব দেন অস্ত্র ও সন্ত্রাসীদের ত্রাস জ্যাদরেল ডিবি পরিদর্শক সিকদার আককাছ আলী,(পিপিএম),টিম-২ এর নেতৃত্বদেন মাদক ব্যবসায়ীদের আতংঙ্ক ও নাশকতা কারীদের ত্রাস পরিদর্শক শাহরিয়ার হাসান ও টিম-৩ এর নেতৃত্বদান করেন ঠান্ডা মাথার ইন্টেলিজেন্স পরিদর্শক হারাণ চন্দ্র পাল।এই তিনটি টিমের ৩ জন পরিদর্শকের নেতৃত্বে ডিবির সাব-ইন্সপেক্টর ও সহকারী সাব-ইন্সপেক্টরগণ জেলাব্যাপী ছদ্মবেশে একের পর এক বড় বড় অভিযানে সফল হয়েছেন।তারমধ্যে জেলায় সর্ববৃহৎ ইয়াবার চালান ২৫ হাজার পিস ইয়াবা আটক করেন গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক শাহরিয়ার হাসানের নেতৃত্বাধীন টিমের সাব-ইন্সপেক্টর রিয়াদুল ইসলাম,সাব-ইন্সপেক্টর মিজান,সহকারী সাব-ইন্সপেক্টর রাজু আহম্মেদ ও সহকারী সাব-ইন্সপেক্টর মাজেদুল ইসলাম।কয়েক সপ্তাহ আগেও জেলার শিবির সভাপতিকে পিস্তল ও গুলি সহ বর
যাত্রীর গাড়িতে ছদ্মবেশে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছিলেন পরিদর্শক শাহরিয়ার হাসানের নেতৃত্বাধীন টিমের সাব-ইন্সপেক্টর রিয়াদুল ইসলাম ও সাব-ইন্সপেক্টর মিজান।সব মিলিয়ে ডিবি পুলিশের সুনাম ও ভাবমূর্তি বৃদ্ধিতে সাব-ইন্সপেক্টর রিয়াদুল ইসলাম বিশেষ ভুমিকা রেখে চলেছেন।
জেলা পুলিশের অপরাধ পর্যালোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার ডিআই-১ আজম খান,গোয়েন্দা শাখার ইনচার্জ আলী আহম্মেদ হাশমী,ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক টিআই মোমিন হোসেন, সাতক্ষীরা থানার ওসি মো:মোস্তাফিজুর রহমান,কলারোয়া থানার ওসি শেখ মারুফ আহম্মেদ,তালা থানার ওসি মেহেদী রাসেল,আশাশুনি থানার ওসি বিপ্লব কুমার দেবনাথ,কালিগঞ্জ থানার ওসি হাসান হাফিজুর রহমান,দেবহাটা থানার ওসি সৈয়দ মান্নান আলী,পাটকেল ঘাটা থানার ওসি,শ্যামনগর থানার ওসি সহ জেলা পুলিশের সকল পর্যায়ের স্টার্ফবৃন্দ উক্ত অপরাধ পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন।