টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

শনিবার দুপুরে ইজতেমা ময়দান পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এই কথা বলেন। এর আগে মন্ত্রী ইজতেমা মাঠ পরিদর্শন করেন এবং ওই দিনের ঘটনায় আহতদের খোঁজখবর নেন।

তাবলিগ জামাতে আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব চলছে বছর দুয়েক ধরেই। জোড় ইজতেমাকে কেন্দ্র করে গত ১ ডিসেম্বর ইজতেমা ময়দান এলাকায় সংঘর্ষে জড়ায় দুই পক্ষ। এতে একজন নিহত হন। আহত হন তিন শতাধিক।

সংঘর্ষের ঘটনায় এবারে বিশ্ব ইজতেমা অনেক অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আশা করছেন নির্বাচনের পর চলমান সংকট নিরসনে করে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে।

তাবলিগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের বিষয়টি প্রশাসনের চিন্তার বাইরে ছিল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘মুসল্লিরা আল্লাহর নামে তাবলিগের মেহনতের কাজে, ধর্ম প্রচারে এসেছে। এরা কীভাবে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে সেটা প্রশাসনের কারও জানা ছিল না। তাবলিগ অনুসারীদের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা খুবই দুঃখজনক। এটা আমরা কখনোই আশা করিনি। ইজতেমা ময়দানে সবাই আল্লাহকে রাজি-খুশি করার লক্ষ্যে ইবাদত করতে আসে। এখানে এসে সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়া মোটেই কাম্য নয়।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, এই ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে, দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. জাবেদ পাটোয়ারী, র‌্যাব মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ওয়াই এম বেলালুর রহমান, ডিসি (জিএমপি) শরিফুর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতি, টঙ্গী পশ্চিম থানার (ওসি) এমদাদুল হক, তাবলিগের মুরব্বি ডা. শাহবুদ্দিন, মাওলানা মাজাহার হোসেন প্রমূখ।

সূত্র:ঢাকা টাইম্স ২৪ ডটকম।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন