ইব্রাহিম খলিল: ‘সবায় মিলে গড়ব দেশ, দুর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ’ স্লোগানে সাতক্ষীরায় আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে রোববার সকালে সাতক্ষীরা পৌরসভার সামনে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মানববন্ধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেন জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল, জেলা পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. বদিউজ্জামান, সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি জিয়াউদ্দীন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন, সহ সভাপতি প্রফেসর শেখ আব্দুল ওয়াদুদ, সনাক সভাপতি কিশোরী মোহন সরকার, সনাক সদস্য প্রফেসর আব্দুল হামিদ, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জী, পৌরসভার কাউন্সিলর কাজী ফিরোজ হাসান, ফারহা দিবা খান সাথী, শেখ আব্দুস সেলিম, জ্যোৎস্না আরা, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য আব্দুর রব ওয়ার্ছী, ক্যাপ্টেন মো. ইছহাক আলী, আব্দুর রহমান, রেবেকা সুলতানা, টিআইবি সাতক্ষীরার এরিয়া ম্যানেজার আবুল ফজল মো. আহাদ প্রমুখ। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘দুর্নীতি এখন সমাজের একটি ব্যধিতে পরিণত হয়েছে। এটি এখন বৈশ্বিক সমস্যা। সমাজের প্রতিটি স্তরে এখন দুর্নীতি লক্ষ্য করা যায়। একটি সুন্দর দেশ উপহার দিতে হলে সমাজ থেকে দুর্নীতি পরিহার করতে হবে। দুর্নীতি প্রতিরোধে দুদককে আরো শক্তিশালী ও কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। দুর্নীতির কারণে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ কারণে দুর্নীতির চক্র থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। যেকোনও উপায়ে দুর্নীতি দমন করতে হবে। দুর্নীতি প্রতিরোধে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’ মানববন্ধন শেষে পৌরসভার অডিটোরিয়ামে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. বদিউজ্জামানের সভাপতিত্বে দুর্নীতি বিরোধী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও সচেতন নাগরিক কমিটি সাতক্ষীরার সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধনে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) দুর্নীতি প্রতিরোধে ১০ দফা সুপারিশ তুলে ধরে। সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সুপারিশগুলো হলো, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো কর্তৃক গণতন্ত্র ও সুশাসনের বিদ্যমান ঘাটতি পূরণে সুনির্দিষ্ট অঙ্গীকার থাকতে হবে এবং কিভাবে বাস্তবায়িত হবে তার সুনির্দিষ্ট রুপরেখাও থাকতে হবে। নির্বাচনে কালো টাকার প্রভাব কমাতে প্রার্থীদের ব্যয়ের হিসেব পর্যবেক্ষণ করতে হবে, সরকারি খাতে অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রতিরোধে ‘সরকারি চাকরি আইন ২০১৮’ এর বিতর্কিত ধারাসমূহ বাতিল করতে হবে। ঋণ খেলাপিতে জর্জরিত রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকিং খাতে দুর্নীতি ও জালিয়াতি এবং বেসরকারি ব্যাংকের নজিরবিহীন আর্থিক কেলেঙ্কারির সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিবর্গের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া, মানববন্ধনে দুর্নীতি প্রতিরোধে দুদককে শক্তিশালী করতে রাজনৈতিক সদিচ্ছার কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন