শেখ আরিফুল ইসলাম: জঙ্গি দমনে বাংলাদেশের অনেক সফলতা রয়েছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ পুলিশের এআইজি সহেলী ফেরদৌস বলেন, জঙ্গি নির্মুলে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। তিনি বলেন, এ জন্য পরিবারের সদস্যদের আচরণ যেমন দেখতে হবে তেমনি সমাজের সবার ওপর নজরদারি করতে হবে।
কমিউনিটি পুলিশ সদস্যরা এই কাজে অনেক বেশি সহায়তা করতে পারেন জানিয়ে তিনি বলেন, মানুষ যাতে জঙ্গি ও সন্ত্রাসের পথে না যায় সে জন্য কর্মকৌশল গ্রহণ করতে হবে। ধর্মকে ব্যবহার করে জঙ্গিরা তাদের স্বার্থ হাসিল করতে চায় জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ইসলাম ও অন্যান্য ধর্মের বাণী যথাযথভাবে প্রচার করে সাধারন মানুষকে জঙ্গি অপরাধ প্রবনতা থেকে সরিয়ে আনতে হবে।
বুধবার সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে ‘শান্তি ও সম্প্রীতিতে নারী’ শীর্ষক এক কর্মশালায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন। জেলা পুলিশ ও বেসরকারি সংস্থা ব্রাকের উদ্যোগে আয়োজিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সদ্যপদন্নতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইলতুৎমিশ । এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ব্রাক কর্মসূচির শ্যামসুন্দর সাহা, জাতিসংঘ প্রতিনিধি আশুকা মুরাতা, রিতা রোজলিন কস্তা, শোয়াইবা রহমান, সাবেক প্রেসক্লাব সভাপতি ও এনটিভির জেলা প্রতিনিধি সুভাষ চৌধুরী, কালিগ্ঞ সার্কেলের এডিশনাল এসপি মো:জামিরুল ইসলাম,তালা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুুুলিশ সুপার অপু সরোয়াার,হেডকোয়াটার্স সার্কেল এএসপি হুমায়ুন কবির সহ তালা ও কালিগঞ্জের কমিউিনিটি পুলিশ সদস্যগণ এবং নারী নেতৃবৃন্দ।
কর্মশালায় অংশ নিয়ে বক্তারা আরও বলেন স্কুল কলেজ মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী ও শিশুদের নিয়ে কর্মসূচি পালন, ক্রীড়া ও সংস্কৃতির প্রতি মানুষকে আগ্রহী করে তোলা, ধর্মীয় উপাসনালয়ে জঙ্গি বিরোধী প্রচারনা চালিয়ে এর ক্ষতিকর দিক তুলে ধরতে হবে। একই সাথে নিজ নিজ এলাকায় নতুন আগতদের সম্পর্কে তথ্য নিয়ে তা আইন শৃংখলা বাহিনীকে জানালে সুফল পাওয়া যাবে। কারও মানসিক, শারীরিক এবং অর্থনৈতিক আকষ্মিক পরিবর্তনের পেছনে জঙ্গিবাদ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তারা।