মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে বিনম্র শ্রদ্ধায় সাতক্ষীরায় পালিত হলো শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। শুক্রবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের কৃষ্ণচুড়া চত্বরে সাংবাদিকরা হাতে হাতে মোমবাতি নিয়ে প্রজ্জ্বলিত করেন। এ সময় তারা শহিদ সন্তানদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
মোমবাতি প্রজ্জ্বলনে অংশ নিয়ে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ বলেন দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ শেষে পাকিস্তানি শত্রু বিতাড়নের চূড়ান্ত বিজয়ের মুহুর্তে রাজাকার আলবদর আল শামসরা জাতিকে মেধাশুন্য করার পরিকল্পনা করে। এরই জেরে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকাররা দেশের সূর্যসন্তানদের এক এক করে ধরে এনে হত্যা করে। পরে তাদের দেহ ফেলে দেওয়া হয় মিরপুর বধ্যভূমিতে। তিনি বলেন জাতির কোনো সন্তানকে হত্যা করে যেমন বাঙ্গালিকে দুর্বল করা যায়নি তেমনি ভারি অস্ত্র নিয়ে স্বাধীনতার বিরোধীতা করেও বাঙ্গালির বিজয় ঠেকানো যায়নি।
একাত্তরের সেই সব ঘাতকদের প্রতি ঘৃণা ছুড়ে দিয়ে অধ্যক্ষ আবু আহমেদ বলেন দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এগিয়ে নিতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রেখে আমাদের কাজ করতে হবে। মোমবাতি প্রজ্জ্বলনে আরও অংশ নেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক আবদুল বারী, তিন সাবেক সভাপতি সুভাষ চৌধুরী, অধ্যক্ষ আনিসুর রহিম ও আবুল কালাম আজাদ, সহ-সভাপতি শেখ আবদুল ওয়াজেদ কচি, সাবেক সাধারন সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী, প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার, যমুনা টিভির শেখ আহসানুর রহমান রাজীব, বাংলাভিশনের মো. আসাদুজ্জামান, আমাদের অর্থনীতির শেখ ফরিদ আহমেদ ময়না, দৈনিক ঘোষনার এসএম শহিদুল ইসলাম প্রমূখ।
এদিকে সন্ধ্যায় শহরের আমতলায় দীনেশ কর্মকারের বাড়ি বধ্যভূমিতে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়।