শেখ আরিফুল ইসলাম: আসন্ন ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সাতক্ষীরা-৩ আসন থেকে বারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা-৩ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও মহাজোট মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী, সাবেক সফল স্বাস্থ্যমন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য, বিশ্ববরেণ্য শৈল্য চিকিৎসক, অধ্যাপক ডাঃ আ ফ ম রুহুল হক বলেন-আজকের জনসভা নয় যেন জনসমুদ্র। এই জন সুমুদ্র প্রমাণ করেছে আগামী ৩০ তারিখের নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে বিএনপির ক্ষমতায় আসার সুযোগ নেই।

২৬ ডিসেম্বর বুধবার বিকাল ৩টায় সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এবং সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে নলতা কেন্দ্রীয় আহছানিয়া মিশন রেসিডেন্সিয়াল কলেজ মাঠে বিশাল নির্বাচনী জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশের মানুষ আওয়ামী লীগের সঙ্গেই আছে। তাই হেরে যাওয়ার ভয়ে নির্বাচন থেকে পালানো পথ খুঁজছে বিএনপি। এ অবস্থায় দেশে-বিদেশে বসে আবারও সন্ত্রাস ও নাশকতার ষড়যন্ত্র করছে তারা। বি এন পি জোট সরকার ক্ষমতায় থাকতে এদেশে মানুষ ছিলেন চরম নিরাপত্তাহীনতায়, দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করে বিএনপি সরকার বাংলাদেশকে কলঙ্কিত করেছিল, সেই কলঙ্কের কালিমা মুছে দেশ এখন উন্নত দেশে পরিণত হয়েছে। আমরা দেশকে আর পিছনের দিকে যেতে দেবোনা। স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে কোনভাবেই এদেশকে আর জঙ্গি রাষ্ট্র বানাতে দেবোনা। আজকের এই সমাবেশে এই হোক আমাদের দৃঢ় অঙ্গীকার।

তিনি আরোও বলেন, বিজয়ের দমকা হাওয়া লেগেছে নৌকার পালে। জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ। আপনারা সকলেই নৌকায় ভোট দিন,আমি আপনাদের আধুনিক সাতক্ষীরা উপহার দেবো। জননেত্রী শেখ হাসিনার কল্যাণেই বাংলাদেশ আজ বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকার কারণে। এখন আর কোন মানুষ বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু বরন করেনা। বাংলাদেশে এখন আর কোন মানুষ না খেয়ে দিন কাটাতে হয়না। এই অবদান আওয়ামীলীগ সরকারের। আগামী নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সাতক্ষীরা জেলাকে দেশের শ্রেষ্ঠ জেলায় পরিণত করবো ইনশাল্লাহ। তাই এই বিজয়ের মাসে উন্নয়নের প্রতীক, স্বাধীনতার প্রতীক নৌকাকে বিজয়ী করে এ দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবেন এই প্রত্যাশায় করছি।

তারালী ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হোসেন ছোট’র সঞ্চালনায় জনসভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন-বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মনসুর আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ নজরুল ইসলাম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোশারফ হোসেন মশু, জেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান, আশাশুনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ বি এম মোস্তাকিম, দেবহাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ গনি, কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ ওয়াহেদুজ্জামান, দেবহাটা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মুজিবর রহমান, আশাশুনি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এড. শহিদুল ইসলাম পিন্টু, কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ মেহেদী, দেবহাটা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, নলতা ইউনয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ¦ মো: আনিছুজ্জামান খোকন, সহ-সভাপতি তারিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ আবুল হোসেন পাড়সহ আওয়ামীলীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন সাতক্ষীরা জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।জনসভায় মানুষের সমাগম ছিল বিপুল। পুরুষের পাশাপাশি নারীদের উপস্থিতি ছিল নজিরবিহীন।