আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে পাকিস্তানি রাজনীতিকরা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জিউনিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটলিয়ন (র্যাব) মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ একথা জানান।
সম্প্রতি নির্বাচনে কালোটাকা ছড়ানো অভিযোগে টাকাসহ ঢাকায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। ওই ঘটনার তদন্তে বেরিয়ে আসে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দণ্ডিত তারেক রহমানের এক সাবেক এপিএসের নাম; যিনি এবার নির্বাচনে দলটি থেকে শরীয়তপুরে প্রার্থী হিসেবে অংশ নিচ্ছেন।
ওই প্রসঙ্গ তুলে র্যাব প্রধান সাক্ষাৎকারে বলেন, পাকিস্তানের কিছু রাজনীতিক বাংলাদেশের একটি দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। ওই দেশ থেকেই আমরা তথ্য পেয়েছি; এটি নিয়ে আরও কাজ করছি।
মতিঝিল থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা নিয়ে বেনজীর আহমেদ বলেন, হাওলা ও হুন্ডির মাধ্যমে বাংলাদেশে ঢুকেছে ওইসব টাকা। যেদিন আমরা ওইসব প্রতিষ্ঠানে (হাওলা-হুন্ডি) অভিযান চালাই, সেই ২৫ ডিসেম্বরই শরীয়তপুরে সহিংসতার ঘটনা ঘটে।
তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে এসব টাকা এসেছে। ভোটারদের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করা এবং নির্বাচনী পরিবেশ সহিংস করাই এর লক্ষ্য।
হঠাৎ করে এত পরিমাণ অর্থ দেশে ঢোকার ব্যাপারটি খুব গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে র্যাব প্রধান বলেন, এটি খুবই সুসংগঠিত নেটওয়ার্ক। আমরা এর গোড়া খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।
দুর্নীতির মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমান বহু বছর ধরেই লন্ডনে স্বেচ্ছানির্বাসনে রয়েছেন। এরই মধ্যে পাকিস্তানের প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স বা আইএসআইয়ের এজেন্টের সঙ্গে অর্থায়ন নিয়ে তার বৈঠকের খবর আসে। ওই প্রসঙ্গে র্যাব প্রধান বেনজীর বলেন, এটি অসম্ভব কিছু নয়।
সম্প্রতি বিএনপির এক নেতার সঙ্গে আইএসআইয়ের এজেন্টের ‘কথোপকথনের একটি অডিও’ প্রকাশ হয়। এ বিষয়েও র্যাবের তদন্ত চলছে।
সূত্র:খুলনার কন্ঠ।