নির্বাচনকে ঘিরে ও নির্বাচন পরবর্ত্তী সময়ে আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও উগ্রবাদী সংগঠনের তৎপরতা বা দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র রুখে দিতে মাঠে নেমেছে গোয়েন্দারা। পলাতক জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের নজরদারির মধ্যে রেখেছে র্যাব। নির্বাচনে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার বন্ধে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।
সম্প্রতি ভারতের আসামের একটি নিউজ পোর্টালের সংবাদে বলা হয়, বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে লন্ডনে গোপন বৈঠক করেছে পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। লন্ডনে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে বাংলাদেশের কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
গোয়েন্দাদের খবর, নির্বাচনের সময় ও নির্বাচন পরবর্ত্তী সময়ে তৎপর হয়ে উঠতে পারে উগ্রবাদী সংগঠন গুলোও। নির্বাচন ভণ্ডুলে দেশি-বিদেশি যেকোনো ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা বিবেচনায় নিয়েই, নির্বাচনী নিরাপত্তার ছক আঁকছে র্যাব।
র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ জানান, আসন্ন নির্বাচনকে জঙ্গি মুক্ত রাখার জন্যে, আমরা আমাদের আগের যে ধারাবাহিক অভিযান রয়েছে সেগুলোকে ইতি মধ্যে আরও তরান্বিত করেছি। এবং আমাদের গোয়েন্দা নজর দারি আরও বৃদ্ধি করেছি। আমরা নির্বাচনকে জঙ্গি মুক্ত রাখার জন্য র্যাবের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যেই বিশেষভাবে বিশেষ কিছু বিষয়গুলো আমরা আমাদের কার্যক্রমে নিয়ে এসেছি।
এদিকে বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েছে পুলিশও। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে বিশেষ অভিযান।
পুলিশ সদর দপ্তর এআইজি মিডিয়া সোহেল রানা জানান, সাধারণ কেন্দ্রগুলোর পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র গুলোর জন্য রয়েছে আমাদের বিশেষ নিরাপত্তা আয়োজন। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার আমাদের নিয়মিতভাবেই চলছে এবং বৈধ অস্ত্রের যেনও কোনও অবৈধ ব্যবহার না হতে পারে, সে বিষয়ও বাংলাদেশ পুলিশ সজাগ রয়েছে এবং আমাদের বিশেষ আয়োজন রয়েছে সে বিষয়ে।
নির্বাচনের সময় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে নির্বিঘ্ন ও শান্তিপূর্ণ করতে ও
নির্বাচন পরবর্ত্তী সময়ে প্রয়োজনীয় সকল নিরাপত্তা বাংলাদেশ পুলিশের রয়েছে। এবং সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তার বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনায় রেখেছে বাংলাদেশ পুলিশ।
সূত্র:Rtv news.