রোজিনা বেগম। বয়স ৩৫। তিন বছর আগে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে সে। এরপর শুরু হয় তার নতুন পরিচয়। রোজিনা পাগলী। আগ্রাবাদ বাদামতলী মোড়ের জাদুঘরের সামনের ফুটপাত হয়ে উঠে তার নতুন ঠিকানা। দিনের আলোয় এই রোজিনা পাগলীর দেখা কেউ না পেলেও রাত হলেই ঠিক তার দেখা মিলতো। তার নতুন পরিচয়ের নতুন ঠিকানায়। আজ সোমবার এই রোজিনা পাগলী মা হয়েছে। আগ্রাবাদ বাদামতলী মোড়ের গ্রামীন ফোন সেন্টারের সামনে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাস্তার পাশে ফুটপাতে কন্যা সন্তান প্রসব করে রোজিনা।
রাস্তায় প্রসব বেদনায় কাতরানো রোজিনার বাচ্চা প্রসবের কথা শুনে মানবিক সাহায্যে এগিয়ে আসে এক পুলিশ সদস্য। পাগলী রোজিনা ও তার সদ্য ভূমিষ্ঠ নবজাতককে রাস্তা থেকে তুলে পাশ্ববর্তী আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি করেন চট্রগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের আওতাধীন ডবলমুরিং থানার দেওয়ান হাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাব-ইন্সপেক্টর মাসুদ।
তিনি জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আগ্রাবাদের গ্রামীন ফোন সেন্টারের সামনে রাস্তার উপর সন্তান প্রসব করেছে এক মহিলা। এমন খবরের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে মহিলা ও রাস্তার উপর পরে থাকা নবজাতকটিকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়। এখন মা ও মেয়ে দুজনই সুস্থ আছে।
সাব-ইন্সপেক্টর মাসুদ প্রতিবেদক কে আরো জানান, যেহেতু রোজিনা মানসিক ভারসাম্যহীন তাই তার কাছ থেকে বাচ্চাটির বাবা কে তা জানতে পারেনি। যতদিন পর্যন্ত এই নবজাতকটিকে দায়িত্বশীল কারো হাতে তুলে দিতে না পারবো ততো দিন তাদের দায়িত্বভার আমি বহন করবো। ইতিমধ্যে অনেকেই বাচ্চাটিকে দত্তক নেওয়ার জন্য আমার কাছে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আমি এখনই কোন সিদ্ধান্ত নিচ্ছি না।