স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন: এক বছরের নিচে এবং ৬৫ বছরের ওপরে সকল নাগরিককে সরকার বিনামূল্যে চিকিৎসা দেবে।
তিনি বলেন: আগামী ৫ বছরের মধ্যে দেশের সবকটি জেলা সদরে ১শ’ শয্যার ক্যান্সার হাসপাতাল গড়ে তোলা হবে।
বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে নতুন সরকারের স্বাস্থ্যখাতের একশ’ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন: বাংলাদেশে বর্তমানে প্রবীণের সংখ্যা ১ কোটি ৩০ লাখ। এই বিপুল সংখ্যক মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দিতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। যা আগামী ৫ বছরের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান: ক্যান্সার ও কিডনি রোগীদের যাতে বিদেশে না যেতে হয় সেজন্য প্রত্যেকটি জেলা সদরে ক্যান্সার হাসপাতালের পাশাপাশি কিডনি হাসপাতাল গড়ে তোলা হবে।
১ বছরের নিচে ও ৬৫ বছরের বেশী বয়সী নাগরিককে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দেয়া বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন: চিকিৎসকরা যাতে গ্রাম থেকে তৃণমূলের মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা দিতে পারে সেজন্য উপজেলা পর্যায়ে চিকিৎসকদের বাড়ি-গাড়ির ব্যবস্থা করা হবে।
অতীতের ক্রটি বিচ্যুতি সংশোধন করে স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখা হবে বলে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন: হাসপাতালে জনবলের উপস্থিতি, যন্ত্রপাতির সঠিক পরিচর্যা, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা এবং ওষুধের পর্যাপ্ততা নিশ্চিত করতে শিগগিরই মন্ত্রণালয়ে একটি মনিটরিং সেল গঠন করা হবে।
‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুর্নীতি দূর করতে স্বাস্থ্য খাতে প্রশাসনিক সংস্কার কর্মসূচি নেয়া হবে কিনা’ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন: কেউ অন্যায় করলে তার বিরুদ্ধে দেশের আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া হবে। ইতোমধ্যে আমরা একজনকে সাসপেন্ড করেছি, ধীরে ধীরে এই শুদ্ধি অভিযান সব জায়গায় চালানো হবে। যাতে ভালো পরিবেশ আপনারা পান। অল্প সময়ের মধ্যে তা দেখতে পাবেন।
১০ হাজার চিকিৎসক বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়োগ দেওয়া হবে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন: স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যার কথা জানাতে একটি ওয়েবসাইট খোলা হয়েছে। ওখানে সারাদেশের জনগণ তাদের অসুবিধার কথা জানাতে পারবেন। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কী চিকিৎসা নেওয়া দরকার তা জানা যাবে। পুরো বিষয়টি মন্ত্রী, তার সচিব এবং মন্ত্রণালয় তদারকি করবে।
সূত্র: চ্যানেল আই অনলাইন।