ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদের প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল সন্তানের স্বীকৃতি দিয়েছেন। তাদের হাত ধরেই বাংলাদেশের গ্রাম হবে শহর। গ্রামে বসেই পাওয়া যাবে শহরের সকল সেবা। খুলনা বিভাগীয় উদ্যোক্তা সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বাড়ছে সেবার বহর, গ্রাম হবে শহর এই স্লোগানকে সামনে নিয়ে খুলনা বিভাগীয় প্রশাসন সোনাডাঙ্গাস্থ মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে দিনব্যাপী এই উদ্যোক্তা সম্মেলনের আয়োজন করে। খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় ১৩ শতাধিক উদ্যোক্তা এ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে।
উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথি বলেন, বর্তমানে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে প্রতিমাসে ৫০ লাখ মানুষ প্রায় ১৫০ ধরনের সেবা পাচ্ছে। আগামী দুই বছরে ডিজিটাল সেবার সংখ্যা দুই হাজারে উন্নীত করা হবে। বর্তমানের পাঁচ হাজার ডিজিটাল সেন্টারের সংখ্যা বাড়িয়ে করা বিশ হাজার। উদ্যোক্তাদের সংখ্যা দশ হাজার থেকে বেড়ে দাঁড়াবে পঞ্চাশ হাজার। ফলে একদিকে যেমন আত্মকর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে তেমনি জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাবে সরকারি বেসরকারি সকল সেবা। তিনি নতুন নতুন প্রযুক্তির সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য উদ্যোক্তাদের প্রস্তুতি গ্রহণের আহবান জানান।
এসময় প্রতিমন্ত্রী দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করতে আগামী এক বছরের মধ্যে খুলনার সকল ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে অপটিক্যাল ফাইবার কানেকশন প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেন।
তিনি উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা শোনেন এবং সেগুলো দ্রুত সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেন।
বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে সম্মানিত অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। এছাড়া এটুআই প্রকল্প পরিচালক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থাপনা পরিচালক, কেএমপির ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রাকিবুল ইসলাম, খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি সহ বিভিন্ন জেলার জেলা প্রশাসকগণ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।এছাড়া সভায় খুলনা বিভাগের সকল নির্বাহী অফিসার গণ ও সকল শিক্ষক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।