অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোঃ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেছেন, পহেলা জুলাই থেকে বাস্তবায়ন হতে যাওয়া নতুন ভ্যাট আইন হবে অধিকতর ব্যবসাবান্ধব। এতে করে ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বড় ব্যবসায়িরা বেশি সুফল পাবে।

তিনি আজ (বৃহস্পতিবার) খুলনা সিটি ইন হোটেলে আয়োজিত ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং খুলনা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি আসন্ন জাতীয় বাজেট প্রণয়নের লক্ষ্যে খুলনা বিভাগের অংশীজনের সাথে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি কাজি আমিনুল হক।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশের বাজেটের আকার যেমন বাড়ছে সেইসাথে রাজস্ব আহরণের পরিমানও প্রতিবছর ১৫-২০ শতাংশ হারে বাড়ছে। বাংলাদেশের বাজেট এখন অনেকটাই স্বনির্ভরশীল। পদ্মাসেতু নির্মাণ তার বড় উদাহরণ।

করের আওতা সম্প্রসারণ এনবিআর এর জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ মন্তব্য করে প্রধান অতিথি বলেন, অন্য দেশের তুলনায় আমাদের ট্যাক্স-জিডিপি অনুপাত খুব কম। মাত্র ১০শতাংশ। এই হারকে আগামী এক বছরে ১৪-১৫ শতাংশে উন্নীত করতে কাজ করছে এনবিআর। এজন্য অধিক সংখ্যক মানুষকে করের আওতায় আনতে হবে। তবে সরকার মানুষকে কষ্ট দিয়ে বাজেট তৈরি করতে চায় না। কর দিতে এসে সাধারণ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য তিনি এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দেশ দেন।

শিল্প কলকারখানা স্থাপন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিকে সরকার সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে উল্লেখ করে মোশাররফ হোসেন বলেন, বাংলাদেশে ভোক্তার সংখ্যা যেমন বাড়ছে উদ্যোক্তাদের সংখ্যাও তেমনি বাড়ছে। বাংলাদেশের জনসংখ্যাকে একসময় সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করা হলেও এখন তা সম্পদ। তরুণ উদ্যোক্তাদের সবধরণের সহযোগিতা দেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া, এনবিআর সদস্য মোঃ ফিরোজ শাহ আলম, কানন কুমার রায় ও ড. আব্দুল মান্নান শিকদার। কর-অঞ্চল খুলনার কমিশনার প্রশান্ত কুমার রায়, মোংলা কাস্টম হাউজের কমিশনার সুরেশ চন্দ্র বিশ্বাস, খুলনা ভ্যাটের কমিশনার মোঃ মোস্তবা আলী, কর-আপীল অঞ্চল খুলনার কমিশনার মোঃ রফিকুল ইসলাম চৌধুরী, খুলনা ভ্যাট আপীল কমিশনারেটের কমিশনার মোহাম্মদ হোসাইন আহম্মেদ প্রমুখ।

প্রাক বাজেট এই আলোচনায় উন্মুক্ত পর্বে অংশ নিয়ে খুলনা বিভাগের বিভিন্ন চেম্বার ও ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ বাজেট বিষয়ে বিভিন্ন প্রস্তাব পেশ করেন।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন