বঙ্গবন্ধু ১৯৭৫ সালে রাজারবাগে প্রথম পুলিশ সপ্তাহের ভাষণে বলেছিলেন, ‘তোমরা জনগণের পুলিশ’। বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে উদ্ধৃত করে বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, বিপিএম(বার) জনগণের প্রভু নয়, তাদের সেবক হয়ে কাজ করার জন্য নবীন পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দেশের কল্যাণে নিজেদের নিয়োজিত রাখতে হবে।

আইজিপি আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে ৩৭তম বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের সহকারী পুলিশ সুপার পদে নবনিযুক্ত কর্মকর্তাদের ৫ দিনব্যাপী ওরিয়েন্টেশন কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ সাম্প্রতিক সময়ে জঙ্গি দমনে প্রশংসনীয় অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছে। জঙ্গি দমনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে ‘রোল মডেল’। তিনি বলেন, আমরা এখন মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছি।
পুলিশ প্রধান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জঙ্গিবাদ, মাদক, সন্ত্রাস ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ঘোষণা করেছেন।

আইজিপি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘সোনার বাংলা’ গড়তে চেয়েছিলেন। তাঁরই সুযোগ্য কন্যার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে যুক্ত হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করতে হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের একটি গৌরবোজ্জ্বল সমৃদ্ধ অতীত রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর উদাত্ত আহ্বানে সাড়া দিয়ে তৎকালীন পুলিশের বাঙালি সদস্যরা ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে রাজারবাগে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধের সূচনা করেন। মুক্তিযুদ্ধে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য সরকার বাংলাদেশ পুলিশকে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করেছে। তিনি বলেন, নবীন কর্মকর্তাদেরকে পুলিশ বাহিনীর ঐতিহ্য, সম্মান ও মর্যাদা রক্ষায় পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

অনুষ্ঠানে নবীন কর্মকর্তা এএসপি হালিমুল আলম ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। অতিরিক্ত আইজিপি ড. মোঃ মইনুর রহমান চৌধুরী, অতিরিক্ত আইজিপি মোঃ শফিকুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ৩৭তম বিসিএস (পুলিশ) ব্যাচে ৯৪ জন পুলিশ কর্মকর্তা যোগদান করেছেন। তাদের মধ্যে ৮০ জন পুরুষ এবং ১৪ জন নারী।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন