খুলনা জেলার ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে তার সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ঘুর্ণিঝড় ফণির প্রভাবে দুর্যোগকালীন পরিস্থিতি মোকাবেলায় খুলনা জেলা প্রশাসন গৃহীত প্রস্তুতিসমূহ তুলে ধরে জানানো হয় যে, খুলনা জেলার নয়টি উপজেলায় সরকারি বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩২৫টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত আছে। ব্যাপক প্রচারের মাধ্যমে জনসাধারণকে আশ্রয় কেন্দ্রে আসার জন্য বলা হচ্ছে। নৌকা, ট্রলারসহ ক্ষুদ্র নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। সেনা ও নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলা ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। স্বাস্থ্য বিভাগের মাধ্যমে খুলনার নয়টি উপজেলার সকল ইউনিয়নে একটি ও প্রতি উপজেলা সদরে পাঁচটিসহ মোট ১১৪টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। দুর্যোকালীন পরিস্থিতি মোকাবেলায় পর্যাপ্ত ওষুধ ও জীবনরক্ষাকারী উপকরণের মজুদ নিশ্চিত করা হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী ডাক্তার, নার্স ও জরুরি সেবার সাথে সংশ্লিষ্ট সবার ছুটি বাতিল করে কর্মস্থলে অবস্থান নিশ্চিত করা হয়েছে। সরকারি বেসরকারি এ্যাম্বুলেন্সগুলো জরুরি মুহূর্তে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত আছে। ঘুর্ণিঝড় ফণি মোকাবেলায় খুলনা জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুমের ফোন নম্বর ০৪১-২৮৩০০৫১। একইসাথে জরুরি প্রয়োজনে ন্যাশনাল হেল্প লাইন নম্বর ৯৯৯ ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করে আগামী শুক্র ও শনিবার খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিস খোলা থাকবে।
সভায় খুলনার পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ বিপিএম , খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউর রহমান,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আছাদুজ্জামান, সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম আব্দুর রাজ্জাক, পানি উন্নয়ন বোর্ড খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শহিদুল ইসলাম, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আজিজুল হক জোয়ার্দ্দার সহ সরকারি কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধি ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব মোঃ নজিবুর রহমান ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢাকা প্রান্ত হতে যুক্ত হয়ে ঘুর্নিঝড় মোকাবেলায় খুলনা জেলার প্রস্তুতি সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেন এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন। পরে একই স্থানে জেলা প্রশাসন জরুরিভাবে সাংবাদিকদের সাথে প্রেস কনফারেন্সে মিলিত হয়।