খাদ্যে যারা ভেজাল মেশায় তাদেরকে ‘খুনি’ আখ্যা দিলেন র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ। বলেছেন, এদের ফাঁসি দিতে হবে। এ জন্য আইনের সংস্কারও চেয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার রোজার প্রথম দিন রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ব্যবসায়ীদের এক অনুষ্ঠানে র‌্যাব প্রধান এই কথা বলেন। রমজান উপলক্ষে ‘পরিমিত ক্রয় ক্যাম্পেইন’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন তিনি।

রোজায় বরাবর খাদ্যপণ্যের চাহিদা থাকে বেশি। আর মাসের শুরুতেই সারা মাসের কেনাকাটা সেরে রাখতে চান বহুজন। এতে বাজারে চাপ পড়ায় পণ্যমূল্যও বেড়ে যায় প্রতি বছর। আর এভাবে না কিনে সারা মাস অল্প অল্প করে কেনাকাটা করার আহ্বান জানানো হয় অনুষ্ঠানে। এখানে একটি ছোট পরিবার দুই দিন চালাতে পারবে- এমন পরিমাণে একটি থলে তৈরি করে বিক্রি করা হয়। এতে এক কেজি শশা, ৫০০ গ্রাম বেগুন, এক হালি লেবু, এক কেজি পেঁয়াজ, ৩০০ গ্রাম কাঁচা মরিচ, ৫০০ গ্রাম টমেটো, এক কেজি আলু এবং আধা কেজি গাজর ছিল।

এই মাসে পণ্য মূল্যের পাশাপাশি খাদ্যে ভেজালের বিষয়টি নিয়েও বেশ উদ্বেগে থাকে ভোক্তারা। র‌্যাব প্রধান বলেন, ‘কিছু অসৎ ব্যবসায়ীর জন্য বাজারে মূল্য বাড়ছে। এই অংশকে আমরা সার্জারি করে আলাদা করে দেব। এদেরকে অপারেশন করে ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া হবে। দরকার নেই এই অংশের। যারা ভেজাল করে তারা খুনি।

‘খুন করলে যদি ফাঁসি হয়, যে খাদ্যে ভেজাল মেশায় তারও ফাঁসি হতে হবে।’

এই অপরাধে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ সংশোধন করারও দাবি জানান বেনজীর। এ জন্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের দৃষ্টিও আকর্ষণ করেন তিনি। বলেন, ‘যাতে দেশের মাটিতে কেউ খাদ্যে ভেজালের মতো দুসাহস না দেখাতে পারে।’

মাত্রাতিরিক্ত মুনাফা করার প্রবণতা ছাড়তে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বানও জানান র‌্যাব মহাপরিচালক। বলেন, ‘রমজান আসলে পণ্যের দাম বাড়বে এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এখন থেকে রমজান আসবে পণ্য মূল্য কমবে। সেটা এক টাকা হলেও কমবে। ব্যবসায়ীরা এখন অনেক সু-সংগঠিত। বর্তমান সরকার ব্যবসাবান্ধব সরকার। এই সরকারের আমলে যদি বাজার নিয়ন্ত্রণ না হয় তাহলে কবে হবে?’

‘আসেন আমরা আজ থেকে শুরু করি। কেউ কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ দিব না। খুচরা বিক্রেতা দোষ দেয় পাইকারি বিক্রেতাকে, পাইকারি বিক্রেতা বলবে সরবরাহকারী বাড়িয়েছে। কোথাও অন্যায্যভাবে উদেশ্যপ্রণোদিত ভাবে দাম বাড়ালে আমাদের বলবেন।’





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন