মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ধর্ষণ মামলার আসামি কাজল নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ধলা গ্রামের গাড়াডোব-আমঝুপি সড়কের একটি বাঁশবাগানে ওই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে বলে পুলিশের দাবি। নিহতের নাম ইয়াকুব আলী কাজল (২৮)। তিনি গাংনীর গাড়াডোব গ্রামের গাছলাপাড়ার জালাল উদ্দীনের ছেলে।
গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হরেন্দ্রনাথ সরকার প্রতিবেদক কে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার ধলা গ্রামে আত্মগোপনে ছিলেন ধর্ষণ মামলার আসামি কাজল। সেখানে অবস্থানকালে স্থানীয় এক মেয়ের ওপরেও কুনজর পড়ে তাঁর। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত বুধবার বিকেলে কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মেয়েটির মুখে এসিড নিক্ষেপ করেন কাজল। পরবর্তী সময়ে ওই ঘটনায় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী কাজলকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
‘পরে পুলিশের কাছে দেওয়া জবানবন্দীর তথ্য অনুসারে, শুক্রবার রাতে গাড়াডোব-আমঝুপির একটি বাঁশবাগানে কাজলকে নিয়ে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারে যায় পুলিশের একটি দল।
সেখানে পৌঁছালে সন্ত্রাসীদের একটি দল পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে। পুলিশও পাল্টা গুলি করলে বন্দুকযুদ্ধের মাঝে পড়ে কাজল গুলিবিদ্ধ হন।’ পরে কাজলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয় বলেও দাবি করেন ওসি।
ওসি আরো জানান, কাজলের বিরুদ্ধে গাংনী থানায় একটি ধর্ষণ মামলা রয়েছে। পুলিশের হাতে আটক হওয়া থেকে রক্ষা পেতে তিনি দীর্ঘদিন ধলা গ্রামে আত্মগোপনে ছিলেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশি বন্দুক, ২ রাউন্ড গুলি ও একটি রামদা উদ্ধারের কথা জানিয়েছে এ কর্মকর্তা।
