খাদিজা খাতুন,বাড়ি শহরের তালতলা গ্রামে।ভিক্ষা করতে করতে সে শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে সাতক্ষীরা ট্রাফিক অফিসের সামনে আসেন ভিক্ষা চাইতে।রমজান মাসে সচারাচর কোন মুসলমান ব্যক্তি ভিক্ষুকদের কে খালি হাতে ফিরিয়ে দেন না।যতদুর সম্ভব ১০-২০ টাকায় কম বেশি সবাই ভিক্ষুকদের কে দিয়ে থাকেন।

সাতক্ষীরা থানার গেটের বিপরীতে অবস্থিত ট্রাফিক অফিস ও পুলিশ কোয়াটার। সেখানে মামলার তদন্ত প্রসংগে দাড়িয়ে কথা বলছিলেন সদর থানার সাব-ইন্সপেক্টর জনাব তারিকুল ইসলাম সুমন।

এসময় সেখানে সাহায্য চাইতে আসেন খাদিজা খাতুন।এসআই তারিকুল ইসলাম তাকে প্রশ্ন করেন আপনার কোলের শিশুটি কি অসুস্থ্য? তখন খাদিজা খাতুন উত্তরে বলেন জি স্যার।আমার ছেলে জন্ম থেকে প্রতিবন্ধী।আজ ১২ টি বৎসর আমি তাকে কোলে করে ঘুরে ঘুরে ভিক্ষা করে বেড়াই স্যার।আমার স্বামীও অক্ষম হয়ে ঘরে পড়ে আছে।

বিষয়টি শুনেই এসআই তারিকুল অসহায় মহিলা কে বলেন আমার সাথে আসেন।বলে এস আই তারিকুল অসহায় মহিলা ও তার প্রতিবন্ধী শিশুকে থানার পিছনে অবস্থিত একটি জামা কাপড়ের দোকানে নিয়ে গেলেন।সেখানে গিয়ে এসআই তারিকুল ১২ বৎসর বয়সের প্রতিবন্ধী শিশুকে ঈদের নতুন পোশাক কিনে দেন ও ঈদের লাচ্ছি সেমাই কেনার জন্য অসহায় মহিলাকে নগদ কিছু অর্থ প্রদান করেন।এসময় অসহায় মহিলা পুলিশের এমন মহৎ মনের কার্যক্রম দেখে আবেগআপ্লুত হয়ে পড়ে বলেন আল্লাহ পাঁক  আপনাকে ও আপনার পরিবার কে দীর্ঘায়ু দান করুন।

প্রসঙ্গত : সাতক্ষীরা সদর থানার সাব-ইন্সপেক্টর তারিকুল ইসলাম সুমন প্রতি বৎসর ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালবাসা দিবসে রাস্তার পথ  শিশুদের কে নতুন জামা কাপড় কিনে দিয়ে  ভ্যালেন্টাইন ডে পালন করেন।

   





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন