সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের (একাংশ) গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছে যে, গত ৩০ মে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংগঠিত ঘটনাকে প্রেসক্লাবের অপর একটি অংশ
রাজনৈতিকভাবে রং দেয়ার অপচেষ্টা করছেন। যা অত্যন্ত দূর্ভাগ্যজনক বলে মনে করেন কর্মরত সাংবাদিকরা। সাংবাদিকদের আভ্যন্তরীণ গোলযোগকে সংঘর্ষের কথা বলে প্রেসক্লাবের গুটিকয়েক ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থ হাছিলের অপচেষ্টা
চালাচ্ছেন।
সাংবাদিকরা সুস্পষ্টভাবে মনে করেন সেদিনের ঘটনাটি ছিল প্রেসক্লাব কুক্ষিগত করে রাখার বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের প্রতিবাদ, প্রেসক্লাব নিয়ে অপরাজনীতির বিরুদ্ধে কর্মরত সাংবাদিকদের প্রতিবাদ, দীর্ঘদিন ধরে সদস্য বঞ্চিত সাংবাদিকদের পঞ্জিভুত ক্ষোভের বহি:প্রকাশ, গঠনতন্ত্র পদদলিত করে প্রেসক্লাব দখলে রাখার বিরুদ্ধে সদস্যদের প্রতিবাদ, প্রেসক্লাবের প্রবীন সদস্যদেরকে কোনো কারণ ছাড়া এমনকি আতœপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে সদস্যপদ
বাতিল করার বিরুদ্ধে সদস্যদের প্রতিবাদ। আর এই প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের মধ্যে উচ্চ বাক্য বিনিময় এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনায় রূপ নেয়।
যাতে উভয়পক্ষের ১০জন আহত হয়। তাদেরকে হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়। এমনকি এঘটনায় প্রেসক্লাবের একাংশের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী ও এশিয়ান টিভির সাতক্ষীরা প্রতিনিধি মনিরুজ্জামান তুহিন বাদী হয়ে সদর থানায় পৃথক
দুটি মামলা দায়ের করেন। যা বর্তমানে তদন্তাধিন। অথচ এসব বিষয় পাশ কাটিয়ে ওইদিনের ঘটনাকে ভিন্নখাতে রূপ দিতে প্রেসক্লাবের ওইসব সুযোগ সন্ধানীরা
কখনও স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, কখনও পুলিশের বিরুদ্ধে অব্যাহত মিথ্যাচার করছে। যেটি অত্যন্ত লজ্জাজনক ও
দূর্ভাগ্যজনক।
শুধু তাই নয় এ-ই আবু আহম্মেদ সাতক্ষীরার উচ্চ পর্যায়ের এক মহিলা বিসিএস পুলিশ কর্মকর্তা কে আসামী না ছাড়ার কারনে তাকে মদ খোর অফিসার হিসাবে আখ্যায়িত করে তার নিজস্ব পেপার কালের চিত্র পত্রিকায় সংবাদ পরিবেশন করেছিলেন।অথচ সেই মানবপ্রেমী পুলিশ কর্মকর্তা সাতক্ষীরা সদর উপজেলার সকল অসহায় মানুষের বিপদের বন্ধু হিসাবে আর্থিক সহযোগিতা ও আইনগত সহযোগীতা করে সর্বত্রই পাশে থেকেছেন।
সাংবাদিকরা আরও মনে করেন, সেদিনের ঘটনা যদি অন্যকোনো ব্যক্তির দ্বারা সংঘটিত হত তাহলে মমতাজ আহমেদ বাপীর মামলায় প্রেসক্লাবের সাবেক সফল সভাপতি একুশে টিভি ও ইত্তেফাকের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি জিএম মনিরুল ইসলাম মিনি,প্রেসক্লাবের সাবেক সফল সাধারণ সম্পাদক আমাদের সময় ও মাছরাঙা টিভির সাতক্ষীরা প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল, প্রেসক্লাবের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বাংলাদেশ প্রতিদিনের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম মনি, বৈশাখী টিভির সাতক্ষীরা প্রতিনিধি শামীম পারভেজসহ কর্মরত অনেক
সাংবাদিকদের কেন আসামীর শ্রেণিভুক্ত করা হল?
এমনকি এই ঘটনার আগে আবু আহমেদকে বাস মালিক সমিতি থেকে বের করে দেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার
নেতৃত্বে একটি মিছিল শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে এসে শেষ করে। সেই মিছিলের লোক দিয়ে পরিকল্পিতভাবে প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণের
ঘটনা ঘটানো হয়। ওই চক্রটি প্রেসক্লাবকে ব্যবহার করে বারবার প্রশাসনকে জিম্মি করে নিজেদের ফায়দা হাসিল করে থাকে। তারা প্রেসক্লাবকে নিজেদের
স্বার্থ রক্ষায় বারবার জনগনের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাড় করাতেও দ্বিধান্বিত হয় না।
সুতরাং সাংবাদিকরা দ্ব্যর্থহীণ কন্ঠে বলতে চায় প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করে কোনো মিথ্যা অপচেষ্টা করলে তা সাংবাদিকরা কখনও মেনে নেবেনা।
প্রেসক্লাবের একাংশ আরও মনে করেন সেদিনের ঘটনার সময় সাতক্ষীরার রাজনীতির অবিভাবক জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি সরকারি সফরে দেশের বাইরে ছিলেন। তাকে
এই ঘটনায় জড়িয়ে কেউ কেউ রাজনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা করছেন।
প্রেসক্লাবের সার্বিক ঘটনা ভিতর থেকে অনুধাবন করে বিচার বিভাগীয় বা জুডিশিয়াল তদন্ত করে তদন্ত রিপোর্ট জনসম্মুখে প্রকাশ করার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। তা না হলে পরবর্তীতে তাদের কুপরিকল্পনা আরও বৃহৎ আকার ধারণ করবে বলে সাংবাদিকরা মনে করেন।
বিবৃতিদাতারা হলেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের একাংশের আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল, আহবায়ক কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের মরিরুল ইসলাম মনি, শামীম পারভেজ, এবিএম মোস্তাফিজুর রহমান ও যমুনা টেলিভিশনের আহছানুর রহমান রাজিব।
এছাড়া বিবৃতিদাতারা হলেন, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি একুশে টিভি ও ইত্তেফাকের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি জিএম মনিরুল ইসলাম মনি, সুপ্রভাত
সাতক্ষীরার সম্পাদক একেএম আনিছুর রহমান, সাবেক সহ-সভাপতি যুগের বার্তার হাবিবুর রহমান হাবিব, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক কাফেলার এম ঈদুজ্জামান ইদ্রিস,
সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বাংলাদেশ টু’ডের মতিয়ার রহমান মধু, সাবেক অর্থ সম্পাদক কাফেলার এম রফিক, সাবেক সাহিত্য ও ক্রীড়া সম্পাদক যুগের বার্তার
আমিনুর রশীদ, সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য দৈনিক প্রবাহের শহীদুল ইসলাম, সদস্য ইনকিলাবের জেলা সংবাদদাতা আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, নিউজ
টোয়েন্টিফোরের শাকিলা ইসলাম জুই, দ্য পিপুলস টাইমস ও দৈনিক ঢাকা প্রতিদিন এর জেলা প্রতিনিধি খন্দকার আনিছুর রহমান আনিস, শেয়ার বিজ এর জেলা প্রতিনিধি ফারুক রহমান, গ্রামের কাগজের জেলা প্রতিনিধি এস রেজাউল ইসলাম,এশিয়ান টিভির জেলা প্রতিনিধি মনিরুজ্জামান তুহিন, বিজয় টিভির জেলা
প্রতিনিধি এস কে কামরুল হাসান, জয়যাত্রা টিভির আকাশ ইসলাম, আজকেরসাতক্ষীরার বার্তা সম্পাদক শাহ আলম, খুলনাঞ্চল এর জেলা প্রতিনিধি
মনিরুজ্জামান, দৈনিক নওয়াপাড়া’র হাফিজুর রহমান, আমাদের কন্ঠের জেলা প্রতিনিধি আক্তারুল ইসলাম, ডেইলী সান এর জেলা প্রতিনিধি শেখ আমিনুর রশীদ
সুজন, ভোরের দর্পনের সম তাজমিনুর রহমান টুটুল, দৈনিক সংযোগ বাংলাদেশ এর জেলা প্রতিনিধি মো. আবু সাঈদ, দৈনিক সরেজমিন এর জেলা প্রতিনিধি গাজী মোক্তার হোসেন, সময়ের কন্ঠের নুরুল ইসলাম, একুশের বানী’র জাহিদুর রহমান পলাশ, ভোরের ধ্বনীর জেলা প্রতিনিধি আজহারুল ইসলাম, দৈনিক প্রভাতি খবরের ফিরোজ হোসেন, সাপ্তাহিক ইচ্ছেনদীর সম্পাদক মোকসুমুল হাকিম প্রমূখ।
—-প্রেস বিজ্ঞপ্তি।।