তথ্য অধিকার আইন চালুর পর থেকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে ৯৫ হাজার ২৩৩টি তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে বলে জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। বুধবার (১৯ জুন) জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সদস্য হাবিবা খানের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী একথা জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
হাবিবা খানের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী জানান, জনগণের ক্ষমতায়ন ও প্রতিটি সরকারি-বেসরকারি কর্তৃপক্ষের কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সরকার ২০০৯ সালের ২৯ মার্চ জাতীয় সংসদে ‘তথ্য অধিকার আইন-২০০৯’ পাস করে। ওই বছরের ৬ এপ্রিল গেজেট আকারে তা প্রকাশিত হয় এবং ১ জুলাই তথ্য কমিশন গঠন করা হয়। এরপর থেকে ৯৯ হাজার ২৩৮টি তথ্যপ্রাপ্তির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সর্বমোট ৯৫ হাজার ২৩৩টি তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এপর্যন্ত ৩ হাজার ৮৩টি দায়েরকৃত অভিযোগের মধ্যে ২ হাজার ৯৭২টি অভিযোগ নিষ্পত্তি হয়েছে এবং ১১১টি অভিযোগ নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে।’
সরকারি দলের সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘ঢাকাসহ সারাদেশে নিবন্ধিত পত্রিকার সংখ্যা তিন হাজার ১২৮টি।’
সরকারি দলের এবাদুল করিমের প্রশ্নের জবাবে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ন বলেন, ‘বন্ধ হওয়া খুলনা নিউজপ্রিন্ট মিলসের জমিতে একটি নতুন পেপার মিল স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। খুলনা নিউজপ্রিন্ট মিলস লিমিটেড ও খুলনা হার্ডবোর্ড মিলস লিমিটেডের ৪৭ দশমিক ৫৭ একর জমির মধ্যে ৫ দশমিক ১৬ একর জমিতে একহাজার ৫০০ মেট্রিক টন ধারণক্ষমতার প্রি-ফেব্রিকেটেড গোডাউন নির্মাণ এবং অবশিষ্ট ৪২ দশমিক ৩১ একর জমিতে নতুন একটি পোপার মিল স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।