নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ১০টি দপ্তর ও সংস্থার সাথে মন্ত্রণালয়ের ২০১৯-২০ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী এমপি’র উপস্থিতিতে আজ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নৌপরিবহন সচিব মো. আবদুস সামাদের সাথে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল জুলফিকার আজিজ, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) বেগম ইয়াসমিন আফসানা, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর জাহাঙ্গীর আলম, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান তপন কুমার চক্রবর্তী, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর এম মাহবুব উল ইসলাম, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) চেয়ারম্যান প্রণয় কান্তি বিশ্বাস, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের (বিএসসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর ইয়াহইয়া সৈয়দ, বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির কমান্ডেন্ট সাজিদ হোসেন এবং ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনসটিটিউটের অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন ফয়সাল আজিম নিজ নিজ সংস্থার পক্ষে চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করেন।


সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার; রূপকল্প-২০২১; টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি);৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা; মন্ত্রণালয়ের মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামো; জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালন; বিভিন্ন উদ্ভাবনী উদ্যোগ এবং সংস্কারমূলক কর্মকান্ড; মন্ত্রণালয়/বিভাগ কর্তৃক গৃহীত নীতিমালা/দলিল; সরকারের অন্যান্য কৌশলপত্র; ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের বরাদ্দকৃত অর্থ ইত্যাদি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি প্রণয়ন করা হয়েছে।


নৌপরিবহন মত্রণালয়ের ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের এপিএ’র অগ্রাধিকার কাজ হলোঃ নদী বন্দর, সমুদ্র বন্দর ও স্থল বন্দরসমূহের আধুনিক ব্যবস্থাপনা, উন্নয়ন ও সংরক্ষণ; উপকূলীয় নৌপথে বাতিঘর ও বয়াবাতি ব্যবস্থাপনা, সংরক্ষণ ও উন্নয়ন; মেরিটাইম ও বন্দর সম্পর্কিত আইন ও বিধি বিধান প্রণয়ন, প্রয়োগ এবং হালনাগাদকরণ; অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন ও নিরাপদ নৌচলাচল নিশ্চিতকরণ; অভ্যন্তরীণ ও উপকূলীয় নৌপথের নাব্যতা উন্নয়ন ও সংরক্ষণ; যান্ত্রিক নৌযান ব্যবস্থাপনা, সার্ভে ও রেজিস্ট্রেশন এবং মেরিটাইম শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ; বাংলাদেশের জলসীমায় ও অভ্যন্তরীণ নৌপথে জলযানসৃষ্ট দূষণ নিয়ন্ত্রণ; নৌচলাচল ও নৌবাণিজ্য সম্পর্কিত দ্বিপাক্ষিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়াদি।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি ২০১৯-২০ এর বিষয়গুলো হলোঃ বিশ্বমানের বন্দর, মেরিটাইম ও নৌপরিবহন ব্যবস্থাপনা; সমুদ্র, নৌ ও স্থল বন্দরসমূহের আধুনিকায়ন; নৌপথের নাব্যতা সংরক্ষণ; মেরিটাইম সেক্টরে দক্ষ জনবল সৃষ্টি; সাশ্রয়ী ও নিরাপদ যাত্রী ও পণ্য পরিবহন; বৈদেশিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে সহায়তাকরণ; দাপ্তরিক কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি ও জবাবদিহি নিশ্চিতকরণ; কর্মসম্পাদনে গতিশীলতা আনয়ন ও সেবার মান বৃদ্ধি এবং আর্থিক ও সম্পদ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ২০১৭-১৮ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ১০০ এর মধ্যে ৯৫ দশমিক ৩৪ এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ১০০ এর মধ্যে মার্চ পর্যন্ত ৮৫ ভাগ অর্জন করেছে।
উল্লেখ্য, সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে উন্নীতকরণ এবং সুশাসন সংহতকরণে সচেষ্ট। এজন্য একটি কার্যকর, দক্ষ এবং গতিশীল প্রশাসনিক ব্যবস্থা, স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নের জন্য সরকারি দপ্তর/সংস্থাসমূহের কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৪৮টি মন্ত্রণালয়/বিভাগের সাথে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি চালু হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির মাধ্যমে সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ি শৃংখলাবদ্ধ থেকে সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব। পাশাপাশি স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা যায়। জনগণের কাছে সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মন্ত্রণালয়ের কাজ আরো গতিশীল ও জবাবদিহিমূলক করতে এই চুক্তির ভূমিকা অপরিহার্য।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি শুধু কাগজে কলমে না থাকে; মেধা ও শ্রম দিয়ে তা বাস্তবায়নে সকলকে সচেষ্ট হতে হবে। তিনি বলেন, ২০২০ সাল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকীতে তাঁর আদর্শ ও স্বপ্ন বাস্তবায়নে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। তাহলেই আমরা প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সোনার বাংলা গড়ে তুলতে সক্ষম হবো।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন