সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের ডাক্তার হাফিজুল্লার বিরুদ্ধে একটি চক্র অচিকিৎসার অভিযোগ এনে তার কাছ থেকে একটি মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করছে এবং টাকা না দিলে তাকে প্রাণ নাশের হুমকি পর্যন্ত দিয়েছে।
সাতক্ষীরা দেবনগর গ্রামে মোস্তাকিমের স্ত্রী মিসেস লিপিকা পারভিন তার স্বামী ও কয়েকজন চাঁদার বাজকে নিয়ে ডাক্তারকে ব্লাকমেইল করে তার কাছে ১০ লক্ষ টাকা চাদার দাবি করে।তখন ডাক্তার তা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে ডাক্তার হাফিজুল্লার নামে সাংবাদিক সম্মেলন করে বিভিন্ন ভিত্তিহীন অভিযোগ আনেন এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ডাক্তার হাফিজুল্লার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে পাঠায়.এর ফলে সদর হাসপাতালের সিভিল সার্জন ঘটনা তদন্তের জন্যে একটি কমিটি গঠন করেন এবং উক্ত কমিটি গত মঙ্গল্বার অভিযোগকারীদের লিখিত জবানবন্দি নেন।ডাক্তার হাফিজুল্লাও লিখিত আকারে জবানবন্দি দিয়েছেন বলে সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়।
প্রসঙ্গত ২০১০ সালে অভিযোগকারী লিপির হাত ভেঙ্গে গেলে তিনি তৎকালীন অর্থোপেডিক্স সার্জন ইব্রাহিম খলিলের কাছে চিকিৎসা করান।ডাক্তার ইব্রাহিম খলিল হাড় জোড়া লাগানোর জন্যে নাট স্ক্র ব্যাবহার করেন।তারপরে সমস্যা দেখা দিলে এখান থেকে ৬-৭ মাস আগে তিনি ডাক্তার হাফিজুল্লার ট্রমা সেন্টারে তার হাতের অপারেশন করান।
এ সম্পর্কে ডাক্তার হাফিজুল্লা বলেন ৭ হাজার টাকা চুক্তিতে আমি তার হাতে থাকা নাট স্ক্র বের করে দেই এবং পূনরায় কোন সমস্যা হলে বিনামূল্যে তাদের চিকিৎসা করাবো বলে অঙ্গীকার করি।কিন্তু অপারেশনের পর থেকে তিনি আমার কাছে এসে তার কোন প্রবলেমের কথা আমাকে জানায় না।গত ১৮-০৬-২০১৯ তারিখে আমার ব্যাক্তিগত মুঠফোনে একজন অজ্ঞ্যাত বায়ক্তি +৯১৮৯৭২৪৮৯০৭৬ নম্বর থেকে ফোন করে আমার কাছে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করে না হলে আমাকে প্রেণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে।
আমি ব্যাপারটি প্রশাসনের উর্ধতন ও সিভিল সার্জনকে জানালে তারা আমাকে আইনের সরনাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দেয়।তাদের পরামর্শে আমি গত ২০-০১৬-২০১৯ তারিখে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি সাধারন ডায়রি করি যার ডায়রি নম্বর-১০৫৬।তিনি আরো বলেন আমি সদর হাসপাতালে প্রতিদিন আউটডোরে ১০০ এর অধিক রোগীকে সেবা প্রদান করে আসছি তাছাড়া সপ্তাহে ২ দিন করে আমি সদর হাসপাতালে বিনামূল্যে অপারেশন করি।তাছাড়া গপ্ত ৬ মাসে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে যতগুলো অপারেশন করেছি এর আগে কখনো এত অল্প সময়ে এত বেশি অপারেশন সম্ভব হইনি।ডাক্তার হাফিজুল্লাহ আরো বলেন কাজ করতে গেলে সুনামের সহিত দুর্নাম ও হবে কিন্তু সমাজের কিছু সার্থেন্বশী লোক ও কিছু চাঁদার মিলে আমার কাছ থেকে একটি মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতে চেয়ে ছিলো কিন্তু তারা তা না পারায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রে নেমেছে।অল্প কিছুদিনের মধ্যেই সত্য সকলের সামনে উদ্ঘাটিত হবে।সাতক্ষীরা সদর সিভিল সার্জনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান তদন্ত প্রায় শেষ অল্প কিছুদিনের তা প্রকাশ করা হবে।অভিযোগ কারী লিপির সাথে তার ঠিকানা ও মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেস্টা করা হলেও তিনি সাতক্ষীরা প্রবাহের কোন প্রতিনিধির সাথে এ ব্যাপারে আলোচনা করতে অস্বীকৃতি জানায়।
পুলিশের দ্বায়িত্বশীল সূত্রের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন জিডির অভিযোগের বিষয়টি খতিইয়ে দেখা হচ্ছে,দোষীদের আইনের আওতাই আনা হবে।ডাক্তার হাফিজুল্লাহ জানান, যারা জেনে ও না বুঝে ফেসবুক সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে সময়মত তাদের বিরুদ্ধে ও ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
সূত্রঃ সাতক্ষীরা প্রবাহ ডট নেট।