কুষ্টিয়ায় কনষ্টেবল পদে নিয়োগ পরিক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে ৪ জনকে আটক করেছে কুষ্টিয়া ডিবি পুলিশ। জানা যায়, গত ১ জুলাই পুলিশ কনষ্টেবল পদে নিয়োগ পরিক্ষায় প্রার্থীর প্রবেশ পত্রের ছবি পরিবর্তন করে পরিক্ষা দেওয়ার সময় আটক হয় দুই ভূয়া পরিক্ষার্থী। পরবর্তীতে তথ্য অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে আরো তিনজনের নাম। গত রবিবার কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস.এম তানভীর আরাফাত পিপিএম (বার) এর নির্দেশে কুষ্টিয়ার ডিবি পুলিশ অভিযানে নামে। কুষ্টিয়া ডিবি পুলিশের এসআই সাহেব আলী, এএসআই তরিকুল ইসলাম, এএসআই আলমগীর কবির, এএসআই তারিকুজ্জামান সঙ্গীয় ফোর্স সহ অভিযান পরিচালনা করে মেহেরপুরের আসাদ আলীর পুত্র মাসুদ রানা (২২), দৌলতপুরের মাদিয়া গ্রামের আমিনুজ্জামান এর পুত্র কামরুজ্জামান তপু (২২), দৌলতপুর দারেরপাড়া নাহারুল ইসলামের পুত্র নাসিম (১৯), দৌলতপুর কাপড়পোড়া গ্রামের নাহারুল ইসলামের পুত্র শাকিল (১৯) কে আটক করে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এ বছর কনষ্টেবল পদে নিয়োগ পরিক্ষায় জালিয়াতি সহ সবধরনের অপ্রতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা আরোপ করা হয়েছিল। কুষ্টিয়া পুলিশের কঠোর নিরাপত্তার মধ্যেও জালিয়াতির মাধ্যমে একজনের পরিক্ষা আরেক জন দিতে আসলে সন্দেহজনকভাবে দায়িত্বরত পুলিশের নজরে আসে। তাৎক্ষনিক দুইজনকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে বেরিয়ে আসে জালিয়াতির তথ্য। তাদের তথ্যমতেই বাকি তিন জনের মধ্যে দুইজনকে আটক করে পুলিশ। কনষ্টেবল পদে পরিক্ষায় জালিয়াতি বাকি একজন দৌলতপুর দাড়েরপাড়ার জোহার পুত্র নাজমূল (৩৫) এখনও পলাতক রয়েছে বলে জানা যায়। কুষ্টিয়া মডেল থানায় পরিক্ষা জালিয়াতির অভিযোগে ৫জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। উল্লেখ্য নিয়োগ পরিক্ষার বেশ কিছু দিন আগ থেকেই কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার কঠোর হুশিয়ারী দিয়ে বলেন, কুষ্টিয়ায় কনষ্টেবল নিয়োগ পরিক্ষায় কোন ধরনের জালিয়াতির সুযোগ থাকবে না। এছাড়াও তিনি সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কনষ্টেবল নিয়োগ পরিক্ষা কোন প্রকার জালিয়াতি যেন না হয় সেই জন্য লিপলেটের প্রচার প্রচারনাও চালায়। কনষ্টেবল পদে নিয়োগ পরিক্ষায় কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপারের পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন