মানবতার ফেরিওয়ালা সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার জনাব মোঃ সাজ্জাদুর রহমান বিপিএম আজ ১১ জুলাই ২০১৯ তারিখ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, পিতা- মৃত আঃ গণি, সাং-ইটাগাছা (পূর্বপাড়া) কে চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহায্য প্রদান করেছেন।
এখানেই শেষ নয়, এর তিন দিন আগে গত ৯ জুলাই কামালনগর মিনা খাতুন মেয়ের বিয়ের জন্য সাহায্য চাইতে আসেন পুলিশ সুপারের নিকট।এসময় পুলিশ সুপার মিনা খাতুন কে তার মেয়ের বিয়ের খরচ বাবদ নগত অর্থ প্রদান করেন।
বিষয়টি নজরে আসে প্রতিবেদকের। প্রতিবেদক তখন খুজতে খুজতে Sp Satkhira District ফেইসবুক আইডির ওয়ালে চলে যান।সেখানে গিয়ে প্রতিবেদক দেখতে পান গত ৪ জুলাই ২০১৯ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আসেন রসুলপুরের দৌলত আলী।দৌলত আলী পুলিশ সুপারের কাছে এসে বলেন তার মেয়ে স্কুলে পড়েন কিন্তু টাকার অভাবে বই কিনে দিতে পারছেন না।পুলিশ সুপার তার দুঃখ-কষ্টের কথা শুনে তাকে একটি ভ্যাণ গাড়ি কিনে দেন রোজগারের পথ হিসাবে সাথে সাথে তার মেয়ের একসেট নতুন বই কিনে দেন।
এখানেই শেষ নয় ওয়ালে গিয়ে আরো দেখা যায় জুন মাসের ৪ তারিখে লাবসার আলমগীর হোসেন তার ৩ বৎসরের শিশু সাব্বির কে চিকিৎসার সাহায্যের জন্য নিয়ে আসেন পুলিশ সুপারের কাছে।তাকেও খালি হাতে ফিরিয়ে দিলেন না পুলিশ সুপার।ঐ অসুস্থ্য শিশু সাব্বিরের চিকিৎসার জন্য নগত অর্থ তুলে দেন সাব্বিরের পিতার কাছে।
শুধু অসহায় লোক বলো কথা নয় ধর্মপ্রাণ পুলিশ সুপার মসজিদ মাদ্রাসা নির্মানেও ব্যাপক সাহায্য ও সহযোগিতা করে থাকেন।গত ২৭ মে বশুখালী ফরকানিয়া মাদ্রাসা ও লিল্লাহ বোর্ডের এতিম শিশুদের জন্য পুলিশ সুপার নগত অর্থ তুলে দেন।
পুলিশ সুপারের ওয়ালে গিয়ে আরো দেখা যায় তিনি ঈদ করেন এতিম শিশুদের সাথে।ঈদের আগের দিন তিনি সাতক্ষীরা শিশু সদনের এতিম বাচ্চাদের ঈদের পোশাক কিনে দেন।
মে মাসের ১১ তারিখ কুকরালীর প্রতিবন্ধী ইব্রাহিম সরদার কে পুলিশ সুপার চিকিৎসা বাবদ নগত অর্থ তুলে দেন।
এসব বিষয় জানতে সাতক্ষীরার একাধিক গণমাধ্যম কে পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান বলেন,আমি মনে করি অসহায় মানুষ কে সাহায্য সহযোগিতা করা একটি সামাজিক দায়বদ্ধতা। আর এই দায়বদ্ধতা থেকেই আমি আমার নিজের স্থান থেকে যেটুকু পারি সেটুকুই করার চেষ্টা করি।তিনি বলেন সমাজের ধনীরা যদি গরীব ও দুঃস্থ্য মানুষ দের পাসে এগিয়ে আসেন তাহলে অনেক গরীব মানুষ স্বচ্ছল ভাবে জীবন যাপন করতে পারবে।