মেহেরপুর জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের বদলি জনিত কারণে বিদায় সংবর্ধনা দিয়েছে গাংনী উপজেলা পরিষদ। শুক্রবার বিকেলে উপজেলা পরিষদের সভা কক্ষে বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সংবর্ধিত বিদায়ী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান (পিপিএম বার)। অনুষ্ঠানের শুরুতে বিদায়ী পুলিশ সুপারকে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে আয়োজকের পক্ষ থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ খালেক ও সাবেক এমপি মকবুল হোসেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা সুখময় সরকার, সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ মকবুল হোসেন, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওবাইদুর রহমান, ওসি তদন্ত সাজেদুল ইসলাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমীন।

অন্যন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোঃ মোশাররফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শফি কামাল পলাশ, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সানোয়ার হোসেন বাবলু, সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম বাব, সাবেক মেয়র আহম্মেদ আলি,রাইপুর ইউনিয়র পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম সাকলায়েন সেপু প্রমুখ। এসময় ধানখোলা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আঃ রাজ্জাক, কাউন্সিলর আছেল উদ্দিন, মিজানুর রহমান, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাসিমা খাতুন, মটমুড়া ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাশেম, রাইপুর ইউপি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মখলেছুর রহমান উপস্থিৎ ছিলেন। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন গাংনী পাইলট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পারভিয়াস হোসেন রাজা।


এর পরে রাত ৮ টার পর মেহেরপুর জেলা পুলিশ এসপি বাঙলোতে পুলিশ সুপারের বিদায়ী সংবর্ধনার আয়োজন করে।সেখানে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পুলিশ সুপার কে বিদায়ী সংবর্ধনা প্রদান করেন মেহেরপুরের জেলা ও দায়রা জজ,জেলা প্রশাসক,  অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশাসন,সদর সার্কেল সহ সকল থানার অফিসার ইনচার্জ গণ।পরে পুলিশ সুপার বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বলেন আমি মাত্র ১১ মাস মেহেরপুরে চাকুরী করেছি।আমি অন্তত্য আরো ২ বৎসর মেহেরপুরে থাকতে চেয়েছিলাম কিন্তু মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশে আমার এই বদলী। যার কারনে আমি আর তদবীর করি নি বদলী ক্যানসিল এর জন্য।

পুলিশ সুপার বলেন,আমি মাত্র ১১ মাসে মেহেরপুর বাসিকে কিছু দিতে পেরেছি কিনা তা জানিনা তবে আমি আমার অফিসে লুঙ্গিপরা লোকজন কেও ঢুকতে দিয়েছি এবং তাদের সমস্যার কথা মনোযোগ সহকারে শুনেছি ও সমাধানের চেষ্টা করেছি।পুলিশ সুপার বলেন,সমাজে যারা ধনী তাদের কোন সমস্যা নেই তাদের টাকা আছে যোগাযোগ আছে তাদের কোথাও বেঁধে থাকেনা। আবার যারা একেবারে গরীব তাদের ও কোন সমস্যা নেই। কারন গরীবেরা সব খানেই হাত পাততে পারে ও সাহায্য চাইতে পারে কিন্তু যারা মধ্যবিত্ত ঘরের মানুষ তাদের সমস্যা খুব বেশি,তারা না পারে কারো কাছে হাত পাততে না পারে কারো কাছে ছোট হতে।সে কারনে আমি মধ্যবিত্তদের নিয়ে বেশির ভাগ সময় কাজ করেছি ও তাদের উপকার করার চেষ্টা করেছি।বিদায়ী অতিথি আরো বলেন মেহেরপুরের কনস্টেবল ধেকে শুরু করে সকল অফিসার আমার ছেলে/ভাইয়ের মত।তারা অপরাধ করলে বা দুষ্টুমি করলে আমি তাদের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট এ্যাকশানে যাইনি তাদের কে ভুল ধরিয়ে সংশোধন করার চেষ্টা করেছি।তাই আমার উপরে কেউ কোন রকম খারাপ লাগা রাখবেন।

পরে শনিবার সকালে মেহেরপুর জেলা পুলিশ পুলিশ সুপার কে গার্ড অফ অনার প্রদান করে।পরে সকল পুলিশ সদস্যদের সাথে কাধে কাধ লাগিয়ে কুশল বিনিময় করেন।

অতপর কোন রকম রাজকীয় ঐতিহ্য ছাড়াই পুলিশ সুপার সিম্পলী গাড়ি যোগে বিদায় নেন।এসময় মেহেরপুরের সকল পুলিশ সুপার কান্নায় আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন।  





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন