সাতক্ষীরার কলারোয়ায় মামলার তদবীরে ব্যর্থ হয়ে সরসকাটি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (আইসি) আসাদ সাদিকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত সাবেক চেয়ারম্যান অজিয়ার রহমান। নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ মামলা ও একাধিক মাদক মামলার আসামীদের আটকের পর তাদের পক্ষে তদবীর করে তা ব্যর্থ হওয়ায় আইসি আসাদ সাদিকের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অপ প্রচার চালিয়ে জেলা পুলিশের উর্দ্ধৃতন কর্মকর্তার কার্যালয়ে বানোয়াট ও মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে ষড়যন্ত্রের জাল বিছিয়ে দিয়েছেন সাবেক এই চেয়ারম্যান।

সৎ,যোগ্য, নিষ্ঠাবান অন্যায়ের প্রতি অাপোষহীন আইনের প্রতি অনড় শ্রদ্ধা আর খাঁকী ইউনির্ফম পরিহীত মর্যাদাশালী দায়িত্ববান অফিসার হয়ে সঠিক পথে জনগনের সেবা দিয়ে চলা সরসকাটি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (আইসি) আসাদ সাদিক দীর্ঘ দশ মাসের বেশী সময় ধরে সরসকাটি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের দায়িত্ব নিয়ে নীরিহ মানুষের সেবায় অন্যায়ের বিরুদ্ধে আইনের শক্তি প্রয়োগ করে ক্যাম্প এলাকায় সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও মাদকের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রেখে অপরাধী আসামীদের আইনের কাছে সোপার্দ করে সেই লক্ষ্য তিনি কাজ করে চলেছেন। বেশ কিছু ধরে সরসকাটি বাজার এলাকায় গুনগুন চলছে আইসি আসাদ সাদিক মিথ্যা অভিযোগে বদলী করে দেবেন সাবেক চেয়ারম্যান অজিয়ার রহমান এমনও হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। এ অজিয়ার রহমান কি একজন কর্মরত পুলিশ ইনচার্জের বদলী করার ক্ষমতা রাখেন৷ বদলী পুলিশের নিয়মতান্ত্রিক ব্যাপার। আইনের শক্তির কাছে অপরাধী কিছুই না।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১২নং যুগিখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জনপ্রতিনিধি অজিরার রহমান তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চেয়েছেন। কিন্তু সরসকাটি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আসাদ সাদিক দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার আতংকে অন্যত্রে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

অনুসন্ধানে বিগত ১৭ই মে বামনালী গ্রামের মৃত গোলাপ আলীর ছেলে লম্পট ইমান আলী উত্তর জয়নগর গ্রামের মৃত অাছির উদ্দিন মোল্লার মেয়ে তানজীলা খাতুন (৪০) কে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ঘরের মধ্যে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।

সে সময় তানজীলার চেচাঁমেচিতে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে পালিয়ে যায় ধর্ষক ইমান আলী। সেই ঘটনা তানজীলা খাতুন বাদী হয়ে থানায় ৯(১) ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০১৩ বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে লম্পট ইমান আলীকে গ্রেফতার করেন সরসকাটি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আসাদ সাদিকের নেতৃত্ব পুলিশের একটি টিম।

খবর পেয়ে সাবেক চেয়ারম্যান অজিয়ার রহমান তার চাচাতো ভাই ধর্ষক ইমান আলীকে ছাড়ানোর জন্য আইসি আসাদ সাদিকের উপর চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন। আইসি আসাদ সাদিক চেয়ারম্যান অজিয়ার রহমানের কথায় পাত্তা না দিয়ে পুলিশের উর্দ্ধৃতন কর্মকর্তার নিদের্শনা মোতাবেক ভিকটিম তানজীলার স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে আলামত সংগ্রহ রেখে ধর্ষক ইমান আলীকে মামলা দিয়ে জেল হাজতে চালান করে দেয়া হয়। এমনকি মামলা থেকে ধর্ষক ইমান আলীকে বাদ দেয়ার জন্য মোটা অংকের টাকা অফার করা হয় আসাদ সাদিককে।

সাবেক চেয়ারম্যান অজিয়ার রহমানের অবৈধ টাকার কাছে নিজেকে বিলিয়ে না দিয়ে ধর্ষক ইমান আলীকে অভিযুক্ত করে মামলার ফাইনাল চার্জসিট আদালতে দাখিল করেন তিনি। এর পূর্বে ২৬/১০/১৮ সালের মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনাকালে ফাঁড়ির ইনচার্জ আসাদ সাদিকের নেতৃত্বে এএসআই আনোয়ার পারভেজসহ সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় বামনখালী বাজারস্থ আরিজুল ইসলামের চায়ের দোকানের সামনে থেকে ওফাপুর গ্রামের আলমগীর সরদারের ছেলে হারুন অর রশীদ ওরফে গলাকাটা হারুনকে ২১ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আটক করা হলে সাবেক চেয়ারম্যান অজিয়ার রহমান গলাকাটা হারুনকে ফাঁড়ি থেকে ছাড়ানোর জন্য আইসি আসাদ সাদিকের উপর পূণরায় চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন। সাবেক চেয়ারম্যান অজিয়ার রহমান সেখানেও ব্যর্থ হয়ে গালকাটা হারুনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে জেল হাজতে চালান করে দেন আইসি আসাদ সাদিক।

বেশ কিছু দিন গলাকাটা হারুন জেল খেটে জামিনে বেরিয়ে আবার এলাকায় মাদক ব্যবসায় শুরু করে দেন। পরবর্তীতে ৩১শে জুলাই ২০১৯ রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওফাপুর পালপাড়া শ্বাশ্মান ঘাট থেকে ২১ পিচ ইয়াবাসহ ওফাপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফা দফাদারের ছেলে কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান ওরফে মনি দফাদার (৪৩) কে আটক করেন আইসি আসাদ সাদিক।

আটক মনি দফাদারের স্বীকারোক্তি মোতাবেক মাদক বিক্রয়ের অভিযোগে সদর উপজেলার পাথরঘাটা গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে মশিউর রহমান ওরফে মনির (৪০) কে গ্রেফতার করে মাদক মামলায় জেল হাজতে চালান করে দেয়া হয়। আটক মনি দফাদার ও তার সহযোগী গালকাটা হারুন এবং ধর্ষক ইমান আলীর মদদদাতা গদফাদার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জনপ্রতিনিধি অজিয়ার রহমান সরসকাটি পুলিশ ফাঁড়ি থেকে তাদের ছাড়ানোর জন্য আইসি আসাদ সাদিকের উপর চাপ প্রয়োগ করলে তা ব্যার্থ হয়ে সততার সাথে আইনের দায়িত্ব পালন করে চলা ইনচার্জ আসাদ সাদিকের সুনামে ঈর্ষান্তিত হয়ে তার সুনামকে দূনামে পরিনত করতে সন্ত্রাসী ও মাদকের মদদদাতা চেয়ারম্যান অজিয়ার রহমান ক্ষিপ্ত হয়ে ষড়যন্ত্রের অংশে লিপ্ত থেকে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মনগড়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযোগ দায়ের করেছেন। মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন আইসি আসাদ সাদিক।

এছাড়া পুলিশ ফাঁড়ি এলাকায় সন্ত্রাসীদের লালনকর্তা ও মাদকের গদফাদার সাবেক চেয়ারম্যান অজিয়ার রহমান ও তার দোসররা প্রকাশ্য জনসন্মুখে পুলিশকে হেয় প্রতিপন্ন করায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান সরসকাটি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আইসি আসাদ সাদিকসহ সূধীজন।

তবে অভিযুক্ত জনপ্রতিনিধি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান অজিয়ার রহমানের মুঠো ফোন 01711 97 40 45 এই নাম্বারে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভাব হয়নি। আরো বিস্তারিত চোঁখ রাখুন ফলোআপ নিউজে।

সূত্র : এবি ৭১ ডট টিভি ।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন