এবার মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের পরিপত্র বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছেন খুলনা জেলার বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন।
সূত্র জানায়,আজ ০৯/০৯/২০১৯ তারিখ জেলা প্রশাসক জনাব মোহাম্মদ হেলাল হোসেন সকাল ৯.২০ থেকে ৯.৪০ পর্যন্ত পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ব্যাতিত আকস্মিক ফুলতলা উপজেলা পরিষদ পরিদর্শনে যান। পরিদর্শন কালে জেলা প্রশাসক দেখতে পান উপজেলা সাব-রেজিস্টার , উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, উপজেলা খাদ্য নিয়িন্ত্রক কর্মকর্তা, উপজেলা সমবায় অফিসার কেউ কর্মস্থলে উপস্থিত ছিলেন না।
বিষয়টি দেখে জেলা প্রশাসক হতবাক হয়ে যান। সূত্র আরো জানায়, মন্ত্রিপরিষদ কর্তৃক সকাল ৯.০০টা থেকে ৯.৪০ পর্যন্ত নিজ অফিসে অবস্থান করার নির্দেশনা অমান্যসহ অন্যান্য অসংগতি পরিলক্ষিত হওয়ায় তাৎক্ষণিক সবাইকে শোকজ (কারন দর্শানো) এর নির্দেশ প্রদান করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন।
অর্থাৎ তাদের বিরুদ্ধে কেন বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবেনা তা জানাতে বলা হয়েছে এবং মন্ত্রিপরিষদ সহ সকল দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে টেলিফোনে অবগত করেন।
প্রাসংঙ্গত:এর আগে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) জারি করা পরিপত্রে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী বিবেচিত হন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম স্বাক্ষরিত পরিপত্রে বলা হয়…….সম্প্রতি পরিলক্ষিত হচ্ছে, অফিসে আগমনকালে পথিমধ্যে দাফতরিক বা ব্যক্তিগত বিভিন্ন কাজের অজুহাত দেখিয়ে কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সঠিক সময়ে অফিসে উপস্থিত হন না। ফলশ্রুতিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে জনসাধারণ ও অন্যান্য সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রয়োজনীয় সংযোগ স্থাপন অসম্ভব হয়ে পড়ে। এতে সাধারণ নাগরিকগণ যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হন তেমনি সরকারি কাজের গতিও শ্লথ হয়।
এতে আরও বলা হয়, এরই প্রেক্ষিতে মাঠ পর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনুশাসন দেয়া হচ্ছে যে, তারা সকাল ৯টা থেকে ৯টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত আবশ্যকীয়ভাবে নিজ অফিস কক্ষে অবস্থান করে অফিসের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। দাফতরিক কর্মসূচি প্রণয়নের সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যেন তাদের সকাল ৯টা থেকে ৯টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত অফিসে অবস্থান ব্যাহত না হয়।
অফিস সময়ে অফিস কক্ষে বা দফতরে অবস্থান করে দায়িত্ব পালনকারী মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষেত্রে এই বাধ্যবাধকতা প্রযোজ্য হবে। তবে ভিভিআইপি বা ভিআইপিদের প্রটোকল প্রদান, আকস্মিকভাবে সংগঠিত কোনো বড় রকমের দুর্ঘটনা মোকাবিলা, গুরুত্বপূর্ণ সভায় যোগদান এবং অনুমোদিত ভ্রমণসূচির মাধ্যমে সফরের ক্ষেত্রে উাপরোক্ত বাধ্যবাধকতা প্রযোজ্য হবে না বলে পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
এমতাবস্থায় সেবাগ্রহণকারী নাগরিকদের সুবিধা এবং সরকারি কর্মকাণ্ডে গতিশীলতা ও সমন্বয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জনস্বার্থে সকাল ৯টায় সরকারি অফিসে আসবেন এবং আবশ্যকীয়ভাবে ৯টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত অফিসে অবস্থান করে অফিসের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন বলে পরিপত্রে বলা হয়।
পরিপত্রটি প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, সব মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের বিতরণ করা হয়েছে।