টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে না পারা আট বছর বয়সী শরিফা খাতুনের অবশেষে চিকিৎসা হচ্ছে। শরিফার মাথায় শিং আকৃতির টিউমার। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল চিকিৎসার জন্য সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
শরিফার চিকিৎসা না হওয়ার ঘটনাটি নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর জেলা প্রশাসক তার কার্যালয়ে পরিবাবের সদস্যদের স্বাক্ষাৎ করার কথা জানান। জেলা প্রশাসকের আহবানে সাড়া দিয়ে রোববার বেলা ১১ টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে শিশু শরিফাকে হাজির হন তার মা-বাবা।

এ সময় জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল শিশু শরিফার শারীরিক অবস্থার সার্বিক খোঁজ খবর নেন ও শরিফাকে সুস্থ করতে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
খোঁজখবর নেওয়ার সময় শরিফার বাবা আশরাফুল ইসলাম জেলা প্রশাসকে অবহিত করেন সংবাদ প্রকাশের পর এক্সিম ব্যাংক কর্তৃপক্ষ শরিফার চিকিৎসার ব্যায়ভার বহন করবেন বলে জানিয়েছেন। সে অনুযায়ী তারা যাতায়াত খরচও পাঠিয়ে দিয়েছেন।
ঘটনা জেনে জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, পরবর্তী যে কোন প্রয়োজ হলে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। শরিফার চিকিৎসার জন্য সর্বাত্নক সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
এ সময় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক মোমতাজ আহম্মেদ বাপ্পি, সাতনদীর প্রধান প্রতিবেদক ও জাগোনিউজের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি আকরামুল ইসলামসহ শরিফার বাবা-মা উপস্থিত ছিলেন।
শরিফা খাতুন সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কঁড়াগাছি ইউনিয়নের হরিণা মাঝেরপাড়া গ্রামের আশরাফুল ইসলামের মেয়ে। জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধি।
শরিফার বাবা আশরাফুল ইসলাম জানান, আমি ভ্যানচালক। যেটুকু রোজগার করি সেটা দিয়েই এতদিন শরিফাকে ডাক্তার দেখিয়েছি। অবশেষে হাল ছেড়ে দিয়েছিলাম। অবশেষে মেয়ের চিকিৎসার একটা উপায় হলো।
বিভিন্নভাবে যারা সহযোগিতা করছেন তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, রাতেই (রোবাবার) স্ত্রী ফাহিমা বেগমকে সঙ্গে নিয়ে শরিফার চিকিৎসার জন্য ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিবো। এক্সিম ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কোথায় শরিফার চিকিৎসা করাবেন সেটি এখনো আমি জানি না।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন