এসএম শহীদুল ইসলাম: সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক হিসেবে কার্যকালের এক বছর পূর্ণ হওয়ায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন এসএম মোস্তফা কামাল। বুধবার সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসক তার সম্মেলন কক্ষে এ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল তার স্বহস্তে লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২০১৮ সালের ৯ অক্টোবর আমি জেলা প্রশাসক হিসেবে কার্যভার গ্রহণ করেছিলাম। দায়িত্বভার গ্রহণের পর বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, সুধজিনসহ জেলা উপজেলায় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সাথে মতবিনিময় ও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছিলাম। মতবিনিময় করে সাতক্ষীরা জেলার সমস্যা ও সম্ভাবনা তুলে ধরেছিলেন সাতক্ষীরার সুধীজন।

মতবিনিময়কালে আমি বলেছিলাম সকল ভালো কাজে সমথৃন ও সহযোগিতা যেমন চাই, তেমনি যে সকল কাজে সমালোচনার যোগ্য সরকারি নীতিমালা পরিপন্থী জনস্বার্থ পরিপন্থী এবং অন্যায় ও অনৈতিক সে বিষয়ে আপনাদের কলমের কালি আমার বিরুদ্ধে ব্যবহার করলে আমি তা মাথা পেতে নেব। এক বছর পূর্তিতে আমি সে কথা পুনর্ব্যক্ত করছি।
জেলা প্রশাসক বলেন, বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণ-পশ্চিমের সীমান্তবর্তী জেলা সাতক্ষীরায় রয়েছে প্র্কৃতিক এবং মনুষ্যসৃষ্ট বেশ কিছু সমস্যা। এর মধ্যে অন্যতম জলাবদ্ধতা, নদী ও খাল ভরাট, খাল দূষণ, সরকারি খাস জমি আত্মসাৎ, মাদক, জঙ্গিবাদ, বাল্যবিবাহ, সুপেয় পানির অভাব, অপর্যাপ্ত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, ময়লা আবর্জনা ডাম্পিং স্টেশনের অপ্রতুলতা, বাসটার্মিনালের সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাব, ট্রাক স্ট্যান্ডের অভার, হাসপাতাল এবং ক্লিনিকের ক্ষতিকর বর্জ্য দ্রুত ডাম্পিংয়ের অপর্যাপ্ততা, শহরের বাড়িঘর এবং ব্যবসা কেন্দ্রের ময়লা আবর্জনা নির্ধারিত স্থানে রাখার মানসিকতার অভাব, ড্রেনেজ সিস্টেমের অভাব, অবৈধ যানবাহন নিয়ন্ত্রণে তদারকির অভাব, ভোমরা স্থল বন্দরে অযাচিত কার্যক্রম, সদর হাসপাতাল এবং মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও উপজেলা হাসপাতালে ডাক্তার সংকটসহ উল্লেখ করার মতো নানাবিধ সমস্যা।
এসএম মোস্তফা কামাল বলেন, সমস্যার বিপরীতে সাতক্ষীরা জেলায় রয়েছে অপার সম্ভাবনা। পৃথিবীর অন্যতম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট রয়েল বেঙ্গর টাইগারের বাসস্থান সুন্দরবনকে কেন্দ্র করে সরকার ইতোমধ্যে বিশেষ পর্যটন অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রাথমিক সমীক্ষা শেষ করেছে। জমির ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে কাজ শুরু হয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হলে সুন্দরবনকে কেন্দ্র করে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। তেমনি প্রকৃতি প্রেমিক ভ্রমণ পিপাসু মানুষেরা সুন্দরবনের অপার সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবে। সাতক্ষীরার বাগদা দেশে ও বিদেশে অত্যন্ত জনপ্রিয়। সুস্বাদু হিমসাগর, ল্যাংড়া আম আজ বাংলাদেশসহ বহির্বিশ্বে সুনাম অর্জন করেছে।

রাজধানী ঢাকায় দেখেছি মানুষ সাতক্ষীরার আম খোঁজে। আমকে কেন্দ্র করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প গড়ে তোলার অনেক সুযোগ রয়েছে। প্রয়োজন উদ্যোক্তা এবং মানসিকতা। সাতক্ষীরার কুল ও পেয়ারা এখন বাংলাদেশের একটি ব্রান্ড। সকলে এর প্রচার ও প্রসারে এগিয়ে আসতে হবে। সাদা মাছের জন্য ইতোমধ্যে সাতক্ষীরা জেলাবাসী তথা মৎস্যচাষীরা মাছ প্রিয় বাঙালির কাছে সমাদৃত।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন