সিটিজেন জার্নালিষ্ট, সাতক্ষীরা: বাংলাদেশের ‘White Gold’ নামে পরিচিত চিংড়ি সম্পদ রপ্তানি আয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। খুলনা অঞ্চল বাংলাদেশের রপ্তানিযোগ্য সিংহভাগ চিংড়ির যোগানদাতা।
কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফা লাভের আশায় জেলি পুশকৃত ও হেডলেস চিংড়ি প্রক্রিয়াজাত করছে যা বাংলাদেশের চিংড়ি সম্পদের সুনাম বিনষ্ট করছে এবং রপ্তানি আয়ের এই খাতকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
খুলনা জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, খুলনা জনাব মোহাম্মদ হেলাল হোসেন এঁর নির্দেশনায় রূপসা উপজেলায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অবৈধ উপায়ে প্রক্রিয়াজাতকরণ ও হেডলেস চিংড়ি সরবরাহের অভিযোগে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় এক মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রতিষ্ঠানকে পঞ্চাশ হাজার (৫০,০০০/-) টাকা জরিমানা করা হয় এবং ৩ জনকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
মোবাইল কোর্টের অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার, রূপসা জনাব নাসরিন আক্তার মহোদয়। রূপসা থানার এসআই ও মৎস্য মান নিয়ন্ত্রণ পরিদর্শক এ অভিযান পরিচালনাকালে সহযোগিতা করেন।
অভিযানে জব্দকৃত ৮৭৪ কেজি চিংড়ি জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, খুলনা জনাব মোহাম্মদ হেলাল হোসেন এঁর নির্দেশনায় রূপসা উপজেলা এবং খুলনা সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।
ভোক্তাদের অধিকার সংরক্ষণে জেলা প্রশাসনের এমন উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন খুলনা জেলা প্রশাসন।