দুই দিন আগে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের বর্ণাঢ্য আয়োজনে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির সুবর্ণ জয়ন্তী ও মুজিব বর্ষ উপলক্ষে পর্দা উঠেছিলো বইমেলার। সুর তরঙ্গ আর ছন্দের আবেশ ছড়িয়ে প্রাণের বইমেলায় উঠেছিল তারুণ্যের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। সেই সুর আর ছন্দের টানে বাঙালির প্রাণের আসর বইমেলায় সোমবার এসে মিলিত হয়েছিলেন শিশু, কিশোর, যুব, বৃদ্ধ সবাই। দিনভর সবশ্রেণির মানুষের উপস্থিতিতে মুখরিত ছিলো বইমেলা প্রাঙ্গন। উপস্থিত লেখক, পাঠক, প্রকাশক-সবার মাঝে ছিল প্রত্যাশার সুর।
৮দিনব্যাপী বইমেলার তৃতীয়দিনে লেখক-পাঠক-ক্রেতা-প্রকাশকের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছিল শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কের বইমেলা প্রাঙ্গণ। জমে উঠেছিলো আড্ডা, আলোচনার জমজমাট আসর।
সাইবার যুগে সোশ্যাল মিডিয়ায় বুদ হয়ে থাকা মানুষের মাঝে প্রাণের সঞ্চার এনেছিলো বইমেলার তৃতীয় দিন। নতুন বইয়ের পাতা উল্টে ঘ্রাণ নেওয়ার উন্মাদনা ছিলো শিশুদের মধ্যে।
বইমেলা বাঙালির প্রাণের এ উৎসব। বইমেলায় শুরু থেকে তরুণদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। যেখানে সবার বদ্ধমূল ধারণা, তরুণদের মধ্য থেকে বই পড়ার অভ্যাস উঠে গেছে। যে তরুণরা রাত-দিন মোবাইল ফোন বা কম্পিউটারে গেমস নিয়ে পড়ে থাকে, সেই তরুণদের পদচারণায় মুখরিত মেলা প্রাঙ্গণ। বন্ধুদের নিয়ে হই-হুল্লোড় করে ঘুরে বেড়িয়েছেন বইমেলায়, হাতে করে ফিরেছেন পছন্দের লেখকের বইটি নিয়ে।
বই এখন আর কেউ পড়ে না- এমন আক্ষেপ থাকলেও বইমেলাকে কেন্দ্র করে তৈরি হচ্ছে নতুন পাঠক। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামালের এ প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানান তারা।
এদিকে মেলার তৃতীয় দিনের সন্ধায় সাতক্ষীরা জেলার বিঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বই মেলায় আসেন। এসময় তিনি মেলার কয়েকটি স্টল পরিদর্শন শেষে বলেন………
“বই দেখাবে আলোর পথ
গড়বো নতুন ভবিষ্যৎ “
এই প্রতিপাদ্য নিয়ে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ও সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরীর সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত বইমেলার আয়োজন করেছি আপনাদের জন্য।আপনারা বই মেলায় এসে বইমেলা কে সমৃদ্ধ করুণ।জেলা প্রশাসক আরো বলেন,
আপনারা বই কিনুন শুভেচ্ছা কুপন সংগ্রহ করে আকর্ষণীয় পুরস্কার জিতে নিন।